কুমিল্লা লালমাই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় পদ্মা বাসের চালককে আটক করায় চাঁদপুরের সকল রুটে বুধবার (০৩ আগস্ট) দুপুর ১ টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের হঠাৎ এ সিদ্ধান্তে অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদেরকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পদ্মা এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬৩২) লালমাই লোটাস কামালের বাড়ির সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এ দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা চালক ও এক যাত্রী গুরতর আহত হয়।
এ ঘটনার পর বাসটি হাজীগঞ্জ আসলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাস ও চালক আ. কাদিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে চালককে আটক করার খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সকল শ্রমিকরা চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, দিনাজপুরসহ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
চাঁদপুর জেলা পৌর আন্তঃবাস টার্মিনালে বুধবার দুপুর ১টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখে স্ট্যান্ড এলাকার প্রবেশমুখে আড়াআড়ি করে কয়েকটি বাস রেখে দেয়। খবর শুনে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মো. রাশেদুজ্জামান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা শুনেছি লালমাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বাস চালককে আটক করায় এখানকার শ্রমিকরা রাস্তার প্রবেশ মুখে এলোমেলোভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এখন তা স্বাভাবিক করে দেই। পরবর্তীতে শ্রমিকরা তা কয়েক ঘন্টা বন্ধ রাখেন।’
চাঁদপুর জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মুন্সির সাথে আলাপকালে তারা জানায় ‘লালমাই এলাকায় বিপরীত সাইট থেকে আসা একটি প্রাইভেটকারের সাথে পদ্মা এক্সপ্রেস বাসের সংঘর্ষ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় চালক ও একজন যাত্রী আহত হওয়ায় হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ বাস এবং চালকে আটক করাতে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাস বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা নেই।’
তারা বলেন ‘আমরা হাজীগঞ্জ থানায় বলেছি যারা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে তাদের পরিবারের সাথে বসে আমরা তা সমাধান করবো। বাসের চালকে যেন কুমিল্লা থানায় না দেয়া হয়। কিন্তু থানা পুলিশ বলেছেন তারা চালককে কুমিল্লা থানায় পাঠিয়ে দেবেন। এজন্য কোন চালকই গাড়ি চালাতে রাজি হননি। তবে আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত তা সমাধান করার জন্য। তবে কত ঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে তা এখন নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। ’
এদিকে বিভিন্ন জেলার বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী সাধারণরা । অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে সিএনজি স্কুটার করে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেন। আবার কেউ কেউ গন্তব্য স্থলে না গিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাসস্ট্যান্ড এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।’
ক’জন যাত্রী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আমরা বাড়ি যাবার জন্য বাসস্ট্যান্ড এসে দেখি সব ধরণের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
ফলোআপ-চাঁদপুরে শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার : বাস চলাচল স্বাভাবিক