চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের ৭ দোকানের সম্পত্তি নিয়ে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ওই ৭টি দোকান রক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ পৌর বাস র্টামিনালে দোকানগুলি মালিকপক্ষের দাবিদার মনির হোসেন গাজী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সম্মেলনে তাদের খরিদকৃত সম্পত্তি রক্ষার্থে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকার দাবি জানানো হয়।
সংবাদিকদের জানানো হয়, বিজ্ঞ আদালত আমাদের কাগজ-পত্র মূল্যায়নে উক্ত মামলার রায় পর্যন্ত রিসিভার বলবৎ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।’
মামলার বিবাদীরা হলেন, ছৈয়দের রহমান, দুলাল হোসেন ওরফে ইকবাল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আবদুর রশিদ, আবদুল মান্নান, জাহেদুল আলম, জসিম মিয়া, শাফাত হোসেন, নিপু সুলতান ও জহিরুল হক।
আদালতে বাদী হয়ে আমরা ২১৩ নং মৌজার ৯৯০ দাগে মোট জায়গার পরিমাণ চার শতাংশ, যার সিএস নং ৫৬৬, আরএস নং ১১৭৪ ও ১১৭৫ এই সম্পত্তিগুলো খরিদসূত্রে মালিকানা দাবি করে।
সম্মেলনে দেয়া লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, হাজীগঞ্জ মধ্য বাজারে ২১৩ নং মকিমাবাদ মৌজার সিএস ৫৬৬ নং খতিয়ানে দুই শতাংশ সাত পয়েন্ট সম্পত্তির উপর সাতটি দোকানঘর জোরপূর্বক নির্মাণ করছে বিবাদী গংরা। দখলীয় সম্পত্তির উত্তরে সিএন্ডবি রাস্তা, দক্ষিণে গোরাঙ্গ বনিক, পূর্বে ফুড ফেয়ার, পশ্চিমে রিমন সুপার মার্কেট।
বিবাদীরা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একের পর এক আদালতের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে সাতটি দোকানঘর নির্মাণ করছে। গত ২৫ মে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত সিআরপিসি কোর্ট ওই সম্পত্তিতে প্রবেশ ও নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৭৬৪ নং স্মরকে বলা হয়েছে, ৪৭৯ এর আরজির বর্ণিত বিষয়ে মালিকানা ও দখল সর্ম্পকে সরেজমিনে তদন্তক্রমে আগামী ১৯ জুলাই পূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন এবং নালিশী ভূমিতে স্থিতিবস্থায়াসহ শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার।
অথচ বিবাদীরা দেশিয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে রাজনৈতিক ও পেশী শক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ বিদ্যমান রাখার অভিযোগ তোলা হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ‘বাদী পক্ষ মনির হোসেন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ পুনরায় আদালতের স্বরণাপন্ন হলে আদালতের নির্দেশে ৭টি দোকানে তালা দিতে গিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মাত্র তিন দোকানে তালা লাগিয়ে অজ্ঞাত কারণে বাকী ৪ টিতে তালা দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতার ওপর প্রশ্ন তুলে তিনি জানান, ‘ ৯ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বাদী পক্ষকে না জানিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে তাদের বিপক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনির হোসেন গাজী দাবি করেন।
এদিকে হাজীগঞ্জ বাজারের এই সাতটি দেকান নিয়ে আদলতে চলমান মামলা থাকার পরও দোকান ঘর নির্মাণ করায় দ্বিমুখী অবস্থানে যেকোন মুর্হূতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে ব্যবসায়ীবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সোহলে, সুমন, বাবু, রুম্মান, মানিক ও ইকবালসহ সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur