রমজান মাসকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা বেড়েছে। তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে এসব অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিচরণ করছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ স্থায়ীভাবে সায়েদাবাদে শরবতের দোকান দিয়ে বসেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি জানান, ভোররাত থেকে যাত্রাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির ১০ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি। এরা হলেন- সোহেল, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী, শাকিল রানা, ওমর ফারুক, আব্দুল খালেক, নান্নু শেখ, বাদশা, বিল্লাল হোসেন, নজরুল ইসলাম এবং মাহবুব শেখ।
এদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা রাজধানীতে বিচরণ করছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ বিভিন্ন গণপরিবহনে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করতে উঠে টার্গেটেড ব্যক্তিদের কৌশলে অজ্ঞান করার ওষুধ খাইয়ে দেয়।
আরেকটি গ্রুপ আছে যারা সায়েদাবাদে শরবতের দোকান দিয়ে বসেছে। টার্গেটেড ব্যক্তিদের অজ্ঞান করার ওষুধ মিশিয়ে শরবত খাইয়ে তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। আরেকটি গ্রুপ যাত্রী বেশে সিএনজিতে উঠে চা খাইয়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান জানান, শুধু মে মাসেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০০ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে ধরে সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও মে মাসে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালতে সর্বোমোট মামলা হয়েছে ৩৬৮টি, সাজা দেয়া হয়েছে ৭৮৬ জনকে, জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা।(বাংলামেইল)
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৭:৪৯ পিএম, ০৭ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার
এইউ