ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের বাসিন্দা প্রকাশ সাহা জীবিকা নির্বাহের এক ব্যতিক্রমী উপায় বেছে নিয়েছেন । দিলখুশ বা পাপড় তৈরি করে মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ ৫ জনের সংসার চলছে বেশ ভালই।
প্রকাশ সাহার স্ত্রী জানান, জমি বলতে বসত ভিটার পাঁচ শতক ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। বড় মেয়ে ফুলহরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। দুই মেয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার কাজে সাহায্য করে।
বড় মেয়ে জানায়, বাবার তৈরি পাপর জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাপড় ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। সারা দিনে তারা প্রায় ১০ কেজি দিলখুশ পাপড় তৈরি করতে পারে। যা দিয়ে ৫ জনের অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যায়।
প্রকাশ সাহা জানান, তিনি আগে গ্রামের বিভিন্ন লোকের পানের বরজে কাজ করতেন। পানের বরজ উঠে গেলে জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাপড় তৈরির কাজ শুরু করেন।
তিনি জানান, ১০ বছর ধরে এই পাপড় তৈরির কাজ করে আসছেন তিনি। ময়দা, হলুদ ও লবণসহ বিভিন্ন মশলা দ্বারা তৈরি করা হয় এই পাপড়। বছরের ভাদ্র থেকে মাঘ এই ৬ মাস এর চাহিদা বেশি থাকে। বর্ষার সময় পাপড় তৈরি বেশ কষ্টকর। কারণ পাপড় তৈরির পর তা রোদে শুকাতে হয়।
পাপড় বিক্রি করে তার প্রতিদিন দুইশ টাকা উপার্জন হয়। ব্যাংক ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার ব্যবসার প্রসার ঘটানো যেত বলেও জানান প্রকাশ সাহা ।
জাহিদুর রহমান তারেক, ঝিনাইদহ করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৯:০০ এএম, ৩০ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ