মুখের মধ্যে মশারি ও কাপড় গুজে দুই বছরের কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ পারুলা বেগম নামে এক সৎ মা কে আটক করেছে। শৈলকুপা উপজেলার সাধুহাটি গ্রামে এ বর্বর ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে গত ১৩ দিন আগে শৈলকুপার সাধুহাটি গ্রামের মজনু মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রী পারুলা বেগমের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় ২ বছরের শিশু মুসলিমা।
সৎ মা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের মধ্যে মশারি ও কাপড় গুজে নির্যাতন করে। শিশুটির বাবা মজনু তা টের পেয়ে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় মুমূর্ষু অবস্থায় বাচ্চাটিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শিশু মুসলিমাকে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষ না হতে আবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
১৪ দিন পর শিশুটি শনিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মিথিলা আহমেদ জানান, শিশুটির গলার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্থ ছিল, তার মুখের মধ্যে কাপড়, মশারি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে।
প্রতিবেশিরা জানায়, ৬ মাস আগে প্রথম স্ত্রী স্ট্রোকে মৃত্যু বরণ করলে পারুলা বেগম কে বিয়ে করেন স্বামী মজনু মজিদ। বিয়ের পর শিশুটির দেখা শুনার ভার নেয় দ্বিতীয় স্ত্রী। গত ১৫ মে মুখের মধ্যে মশারি ঢুকিয়ে হত্যা চেষ্টা চালানো হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন স্বামী মজনু মজিদ। সৎ মা পারুলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি মুসলিমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এটি করেননি, শিশুটি পায়খানা গালে নিয়েছিল, তিনি সেটি পরিস্কার করছিলেন।
শৈলকুপা থানার ওসি মহিবুল ইসলাম বলেন, সৎ মায়ের হাতে নির্যাতনে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ মজনুর দ্বিতীয় স্ত্রীকে আটক করেছে।