নওগাঁয় এক নারী পুলিশের প্রেমে পড়লেন এক ডাকাত সদস্য। মেহেদী হাসান নামের ওই ডাকাতের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন নওগাঁ থানার নারী কনস্টেবল।
অবশেষে জানা গেল এই প্রেম ছিল কেবলই অপারেশনের একটি অংশমাত্র। ওই ডাকাতকে আটক করতেই প্রেমের অভিনয় করছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) নওগাঁ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এমএম ফয়সাল আহম্মেদ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ডাকাত গ্রেফতারের এই কৌশলের কথা জানান।
ফয়সাল আহম্মেদ ঘটনার বিবৃতিতে বলেন, ডাকাত মেহেদীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রথমে সোর্সের মাধ্যমে মেহেদীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে নম্বরটি থানার এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে দেয়া হয় এবং তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে বলা হয়।
এমন দায়িত্ব পেয়ে ওই নারী পুলিশ ডাকাতের সঙ্গে কলেজছাত্রীর পরিচয়ে কথা বলা শুরু করেন। তার মিষ্টি সব কথায় কয়েকদিনেই প্রেমে পড়ে যান ডাকাত মেহেদী।
এক সময় একে অপরকে না দেখেই পালিয়ে বিয়ে করার কথা সিদ্ধান্ত নেন তারা।
গত ২২ অক্টোবর নারী পুলিশের কথামতো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলা সদরে সিএনজিস্ট্যান্ডে আসেন প্রেমিক ডাকাত।
স্ট্যান্ডে দুজনের দেখা হয়। তবে ফুলের মালার জায়গায় পুলিশ মেহেদীকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়।
গ্রেফতারকৃত মেহেদীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ১২ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এমএম ফয়সাল আহম্মেদ।
মেহেদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও আছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি ট্রাক পাঁচ শতাধিক মুরগির খাবারের বস্তা নিয়ে রংপুরের দিকে যাবার পথে সিংড়া বাজার এলাকায় লুট করে ১০ থেকে ১২ জনের অজ্ঞাত ডাকাত দল।
ট্রাকচালক ও হেল্পারের সঙ্গে থাকা ১৩ হাজার টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোনও কেড়ে নেয় তারা। ওই দিন ট্রাকচালক লিটন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
ডাকাত মেহেদী হাসান বগুড়ার দুপচাচিয়ার ইসলামপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।