রোজার আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখুন। পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও রমজানে চাহিদা বেশি । প্রতিদিন বাড়ছে চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
ইতোমধ্যে রমজানের চাহিদা বেশি থাকা পণ্য চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর এবং ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে শুরু করছে। ব্যবসায়ীরা আগেই দাম বাড়িয়ে লাভ করার জন্যে রমজানে স্থিতিশীল রাখার কৌশলগত পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছেন।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে চিনি ,ছোলা,খেজুর, ডাল ,পেঁয়াজ, রসুন, ভোজ্য তেল ও পাম অয়েলের দাম বাড়ছে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি। মূলত: রোজার আগমনেই পণ্যের দামের এ বাড়তির প্রবণতা লক্ষণীয় ।
যে সব পণ্যের দাম বেড়েছে তার সব ক’টি রোজার সময় বেশি ব্যবহৃত হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি সংসদে বলেছেন, “বর্তমানে বাজারে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে। পাশাপাশি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহও রয়েছে। রমজানে বাজারে পণ্যের সংকট থাকবে না এবং দামও বাড়বে না। বাজার স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।”
আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় সন্তোষ প্রকাশ করছি। সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যাক্তিরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে রমজানে অন্তত: ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াতে সাহস পাবে না বলে আমাদের বিশ্বাস । আর সরকারকেই বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে ।
ক্যাব সভাপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে দাম বাড়ছে। কেউ কেউ বলেছেন, ‘আমাদের বাজার ব্যবস্থায় প্রায় সব পণ্যই দেশে উৎপন্ন হয়, আবার বিদেশ থেকেও আমদানি করতে হয়। আমদানির ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রত্যেক পণ্যের আমদানিকারক তিন থেকে চারজন। এরাই মোটামুটিভাবে বাজারটাকে নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানুযায়ী, দেশে ভোজ্য তেলের বার্ষিক চাহিদা ১৪ লাখ ৫০ হাজার টন, মজুদ আছে ১৫ লাখ ৫১ হাজার টন। চিনির বার্ষিক চাহিদা ১৩ থেকে ১৪ লাখ টন, মজুদ আছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার টন।
পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২২ লাখ টন, মজুদ আছে ২৩ লাখ ৫৫ হাজার টন। রসুনের চাহিদা ৫ লাখ ২৭ হাজার টন, মজুদ আছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন।
ডালের চাহিদা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন, মজুদ আছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার টন। ছোলার চাহিদা ৬০ হাজার টন, মজুদ আছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার টন।
খেজুরের চাহিদা ১৫ হাজার টন, মজুদ আছে ১৭ হাজার টন। এ ছাড়া ভোজ্য তেল আরো ২ লাখ টন বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আছে এবং পেঁয়াজ, রসুন প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে।
সুতরাং, আমরা আশাবাদী , আসন্ন রমজানে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম নানা অজুহাতে কিংবা ছুঁতা-নাতায় বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেবেন না ।
সম্পাদকীয় : আপডেট বাংলাদেশ সময় ৭:২৫ পিএম, ১৪ মে ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ