ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ। এদিনে ‘ম্যারি এন‘ নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় লণ্ডভণ্ড করে দেয় দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় পূরো উপকূল। লাশের পরে লাশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল চারদিকে।
রাতের নিস্তব্ধতা এবং অন্ধকার ভেদ করে মুহূর্তের মধ্যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল কুতুবদিয়া,কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া, বাশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, সীতাকুণ্ড পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকা। বিস্তীর্ণ অঞ্চল ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
দেশের মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে সেদিন প্রত্যক্ষ করেছিল প্রকৃতির করুণ এই আঘাত।পরদিন বিশ্ববাসী অবাক হয়ে গিয়েছিল সেই ধ্বংসলীলা ১৯৯১ ‘ম্যারি এন‘ দেখে। কেঁপে উঠেছিল বিশ্ব বিবেক। বাংলাদেশে আঘাত হানা ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় নিহতের সংখ্যা বিচারে পৃথিবীর ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ভয়াল ৯১ ঘূর্ণিঝড় এর পর ২৪ বছর অতিবাহিত হলেও উপকূলীয় অঞ্চল দ্বীপ কুতুবদিয়ায় আজও তৈরি হয়নি দ্বীপ কুতুবদিয়া প্রতিরক্ষাবাঁধ বা বেড়ীবাঁধ ,পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। ঘূর্ণিঝড় সতর্ক সংকেত ঘোষণা হলে শেল্টারগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না।
অনেকে সেখানে জায়গা ও পান না।বর্তমানে অনেকগুলি ব্যক্তিগত ব্যবসার কাজেও ব্যবহার করে থাকেন, এই আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ব্যবহারের ফলে অনেকগুলো আবার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অনেক স্থানে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাঘাটের অবস্থা ও অনেক খারাপ। বিদ্যুৎ,সেটা সেই কালে ছিল না,এই কালে ও নাই।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ৬:০২ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur