চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে আতংকে ভুগছে ৪নং ওয়ার্ডের জনগণ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহরাস্তি পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বহু লোক আহত হয়।
অনেকেই জানায়, ওইদিনের সংঘর্ষে বহিরাগত কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু লোক হামলার শিকার হন। এরপর থেকে আশ্রাফপুর ও জগৎপুরের কিছু যুবক অত্র অঞ্চলের লোকদের হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। ৫নং ওয়ার্ডের নাওড়া, ঘুঘুশাল, সোনাপুর, সাহাপুর এলাকার জনগণ কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর, জগৎপুর এলাকা প্রবেশে নিজেদের নিরাপদ বোধ করছেন না। নির্বাচনের পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বানিয়াচোঁ এলাকা থেকে একটি পিকনিক বাস জগৎপুর এলাকা অতিক্রম করার সময় বেশ কিছু যুবক তাদের গতিরোধ করে তল্লাশী চালায়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জগৎপুরের কিছু যুবক কাউন্সিলর প্রার্থী মাহবুব আলমকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ সন্ধায় ঘুঘুশাল এলাকার ফার্ণিচার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামকে কাজের কথা বলে মোবাইলে রসুলপুর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর বেশ কয়েকজন যুবক তাকে রাস্তার উপরে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা মোটর সাইকেলে করে তাকে জগৎপুর স্কুলে নিয়ে গোলবারের সাথে বেধে অমানুসিক নির্যাতন চালায়। সংবাদ পেয়ে প্রায় এক থেকে দেড়শ মানুষ শাহরাস্তি থেকে জগৎপুর স্কুলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহমুদুল্লা সাঈদ তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে কুমিল্লায় প্রেরণ করে।
শফিকুল ইসলাম জানায়, তাকে আটকের পর জিজ্ঞাস করে কেন ভোটের দিন তাদের মারা হয়েছে। শফিকুল ইসলাম ভোটের দিন এ ধরণের কর্মকান্ডে সে জড়িত নয় বলে জানায়। এরপরও তার উপর অমানুসিক নির্যাতন করা হয়। শফিক জানায়, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন আলমের শ্যালক নোমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক এ হামলার সাথে জড়িত।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আঃ রহমান জানান, আমাদের এলাকা শান্তিপ্রিয়। আমরা সকলের সাথে এক হয়ে কাজ করি। শফিকের উপর হামলার খবর শুনে আমি জগৎপুর বাজারে সকলের সাথে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ ধরনের ঘটনার বিচার হওয়া উচিৎ।
উক্ত হামলা ও আটকের ঘটনায় ৪নং ওয়ার্ডের জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। দলমত নির্বিশেষে সকলের মাঝে উক্ত ঘটনাগুলো তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট||আপডেট: ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, ৩০ মার্চ ২০১৬, বুধবার
চাঁদপুর টাইমস /এমআরআর