নওগাঁর সাপাহার উপজেলার একটি কূপ থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধ ও তৈলাক্ত পানি উঠছে। উপজেলা সদর থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গোডাউন পাড়া গ্রামে গত ২০ দিন ধরে এ তৈলাক্ত পানি উঠছে।
খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন কূপটি দেখতে আসছেন। এলাকাবাসীর ধারণা কূপের পানি পরীক্ষা করলেও হয়ত জ্বালানি তেলের খনির সন্ধ্যান পাওয়া যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাপাহার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে গোডাউন পাড়া গ্রাম। উপজেলাটি বরেন্দ্র ভূমি এলাকা হওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে। নলকূপ থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হতো না। ফলে খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগতে হয়ে এলাকাবাসীর। এ কারণে খাবারের পানি সংগ্রহে গ্রামে গ্রামে কয়েকটি করে রিং কূপ বসানো হয়।
এই গ্রামের দফিজ উদ্দীনের বাড়িতেও একটি রিং কূপ বসানো হয়। গত ২০ দিন ধরে তার কূপ থেকে পানির সঙ্গে কেরোসিন তেল ও তৈলাক্ত আকারের পানি উঠছে।
বেশকিছু দিন থেকে পানির ওপর তেলের স্তর জমে থাকায় বাড়ির মালিক ওই কূপের সমস্ত পানি নিষ্কাশন করে ফেলেন। তারপরও একইভাবে কূপ থেকে কেরোসিনের গন্ধ ও তৈলাক্ত পানি উঠছে।
কূপের মালিক দফিজ উদ্দীন বলেন, গত ২০ বছর থেকে পরিবারের বিভিন্ন কাজে এমনকি প্রতিবেশীরা কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে আসছেন। গত বছর কূপ থেকে পাম্পের মাধ্যমে পানি উত্তোলন করা হয়। সেখান থেকে ভালো পানি পাওয়া যায়। এতদিন পরিষ্কার পানি পাওয়া গেলেও গত ২০ দিন থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধ ও তেলের পানি বের হচ্ছে।
উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের সারোয়ার হোসেন বলেন, কূপ থেকে কেরোসিনের তেল উঠছে শুনে দেখছি এসেছি। পানির ওপর তৈলাক্ত এক প্রকার পদার্থ ভাসছে। কূপের আশপাশে জ্বালানি তৈলের খনি থাকতে পারে। যার কারণে পানির সঙ্গে তেল বের হচ্ছে।
সাপাহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সবুর আলী বলেন, কূপ থেকে কেরোসিনের তেল জাতীয় পদার্থের মতো কিছু একটা দেখছেন এলাকাবাসী। দুর্গাপূজার কারণে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। যদি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায় তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মুমিনুল হক বলেন, তৈলাক্ত পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পানিতে যদি গ্যাস, আর্সেনিক বা যেকোনো তৈলাক্ত পদার্থ থাকে তা খাবার উপযোগী নয়। ওই কূপের পানি ব্যবহার করা যাবে না। (জাগো নিউজ)
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur