Home / সারাদেশ / ‘ওসি আমাকে বললেন, ঝাড়ফুঁক করেন, তাবিজ করেন, আপনাদের ছেলেরা ফিরে আসবে’
‘ওসি আমাকে বললেন, ঝাড়ফুঁক করেন, তাবিজ করেন, আপনাদের ছেলেরা ফিরে আসবে’

‘ওসি আমাকে বললেন, ঝাড়ফুঁক করেন, তাবিজ করেন, আপনাদের ছেলেরা ফিরে আসবে’

সিলেটের হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২

বহুল আলোচিত সিলেটের হবিগঞ্জের বাহুবলে চার শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশু মনিরের বাবা আফজাল মিয়া তালুকদারের সাধারণ ডায়রির পরিপ্রেক্ষিতে বাহুবল থানা পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় আব্দুল আলী ও তার ছেলে জুয়েলকে আটক করেছে।

চার শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।

হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক হাসপাতালে নিহত চার শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার বিকেল ৪টায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. দেবাশিষ দাস ও ডাক্তার আবু নাঈম হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে। বুধবার রাতেই শিশুদের লাশ দাফন করা হবে।

তিনি জানান, নিহত ৪ শিশুর পরিবারকে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম ও পুলিশ সুপার জয় দেব কুমার ভদ্র লাশ হস্তান্তরের সময় নিহতের পরিবারের হাতে এ অনুদান তুলে দেন।

আফজাল মিয়া তালুকদার বলেন, ‘গাছ কাটার ঘটনায় আব্দুল আলীর সঙ্গে আমার মাসখানেক আগে সংঘর্ষ বাঁধে। তারই জের ধরে নিষ্পাপ শিশুগুলোকে হত্যা করেছে পাষণ্ড আব্দুল আলীরা।’

তিনি অভিযোগ করেন, নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার বাহুবল থানায় জিডি করতে গেলে বাহুবল থানার ওসি মোশারফ হোসেন তার সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন।

আফজাল মিয়া বলেন, ‘জিডি করতে গেলে ওসি আমাকে বললেন, ঝাড়ফুঁক করেন, তাবিজ করেন। আপনাদের ছেলেরা ফিরে আসবে।’

গত শুক্রবার বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই চার শিশু। নিখোঁজের ৫ দিন পর বুধবার সকালে উপজেলার সুন্দ্রাটিকি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিশুরা হলো― উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১২:৫১ অপরাহ্ন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বৃহস্পতিবার

এমআরআর