দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন আখতার তার সাবেক স্বামী রকিবুল ইসলামের কাছ থেকে ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনের এক মামলার রায়ে ওই ক্ষতিপূরণ প্রদানের রায় দেন।
বিচারক উভয় পক্ষের মানীত সালিশগনের দাখিলকৃত প্রতিবেদন, আবেদনকারী ও প্রতিপক্ষের সামাজিক মর্যাদা এবং মূল মামলার আবেদনসহ সার্বিক পর্যালোচনায় মামলার বাদীনি নাজনীন আখতারকে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য বিবাদি রকিবুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।
বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন, বিবাদি উক্ত ক্ষতিপূরণের টাকা একবারে বা কিস্তিতেও প্রদান করতে পারবেন।
গত ৩০ নভেম্বর বিচারক এই মামলায় বাদীনির অভিযোগ বিষয়ে প্রকৃত ক্ষতিপূরণ নির্ধারনের জন্য উভয়পক্ষকে তিনজন করে মোট ছয়জনের নাম জমাদানের নির্দেশ দেন।
এরপর ওইদিনই উভয়পক্ষ তিনজন করে মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করলেও আদালতে একপক্ষ অপরপক্ষের দুজন করে মোট চারজনের নামে আপত্তি দাখিল করেন। পরে উভয়পক্ষের অনাপত্তিতে বিএফইউজে এর মহাসচিব ও বাসস এর নিউজ এডিটর ওমর ফারুক এবং বিএফইউজের কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ৭১ টিভির পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজাকে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয়।
গত ১০ ডিসেম্বর ওই দুই সাংবাদিক সালিশ বৈঠকে বসার জন্য আদালতে সময় প্রার্থনা করলে বিচারক পনের দিন সময় বর্ধিত করেন।
এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে উভয় পক্ষের সাথে বৈঠকে মিলিত হন ওই দুই সাংবাদিক নেতা।
স্বল্প সময়ের ওই বৈঠকে বিবাদি রকিবুল ইসলাম স্বেচ্ছায় বাদীনিকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানে সম্মত হন।
পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিক নেতা বিবাদির ক্ষতিপূরণ প্রদানে ওই সম্মতির বিষয়টি বাদীনিকে জানান এবং তাকে তা মেনে নেয়ার পরামর্শও দেন।
পরবর্তী ধার্য তারিখে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা আদালতে এসে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেন। কিন্তু প্রেসক্লাবে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরন দেয়ার অঙ্গীকার থেকে সরে আসেন বিবাদি রকিবুল ইসলাম। এমনকি তার আইনজীবী ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টিই শুধু নয় প্রেসক্লাবে বৈঠকের কথাটিও বেমালুম অস্বীকার করেন।
এরপর বিচারক ১১ জানুয়ারি ক্ষতিপূরণ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, দৈনিক জনকণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নাজনীন আখতার তার সাবেক স্বামী রকিবুল ইসলামের (মুকুল) বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগে ৫০ লক্ষ ৪৪ হাজার ২০০ টাকা ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও তিনি তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের করেছেন যা বর্তমানে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডেট : ০৪:২০ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৫, মঙ্গলবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur