এক সময় বাজারে বা বাড়িতে মাছের আঁশ তুলে তা ফেলে দেয়া হতো। কিন্তু এখন সেই আঁশ সোনায় পরিণত হয়েছে। মাছের এই আঁশ এখন বিদেশে রফতানির জন্য চাঁদপুর থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রফতানিকারকরা জানিয়েছেন, এসব আঁশ দিয়ে বিদেশে ক্যাপসুলের মোড়ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। কয়েক মাস অন্তর অন্তর পাইকাররা ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর এসে এসব আঁশ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছে। আর স্থানীয় সংগ্রহকারীরা পাচ্ছে প্রচুর টাকা। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী আঁশ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
মাছের আঁশ সংগ্রহকারী নুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিন বাজার থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করে তা ধুয়ে রোদে শুকানো হয়। আঁশ ভালোভাবে শুকানো হলে তা বাজারজাতের উপযোগী করে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়। ৩/৪ মাস পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে পাইকার আসলে মণ প্রতি ৪ হাজার টাকায় এসব আঁশ বিক্রি করা হয়। এ টাকা অতিরিক্ত আয়ের অংশ হিসেবে তারা জানায়।
আঁশ সংগ্রহকারী পাইকার আল-আমিন জানান, মাছের আঁশ দিয়ে বিদেশে ওষুধ ক্যাপসুলের মোড়ক তৈরি করা হয়। যদিও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে না পারায় বিদেশিরা আঁশ সংগ্রহ বন্ধ করে দিয়েছিল। বর্তমানে আবার রফতানি শুরু হয়েছে। তবে দাম আগের তুলনায় কম।
তারা জানায়, সারাদেশে আঁশ সংগ্রহকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এবং ভালো মানের আঁশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে বিদেশে এসব আঁশ রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সরকার এ ব্যাপারে এগিয়ে আসলে বা কোরো দফতরকে দেখভালের দায়িত্ব দিলে আঁশ সংগ্রহের শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে পারে। এতে বেকারত্বের যেমন সংখ্যা কমবে, তেমনি দেশ উপকৃত হবে। এদিকে মাছের আঁশের রফতানি বাড়াতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট ০৭:৪০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শক্রবার
ডিএইচ