রকিবুল হাসান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক মহীরুহের নাম। ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। স্বাধীনতা যুদ্ধেও রয়েছে অবদান। অথচ এই রকিবুল হাসানই এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধানতম বিতর্কিত চরিত্র।
বিপিএলের একটি ম্যাচে টস বিতর্কের পর এনিয়ে রকিবুলের লাগামহীন, সাম্প্রদায়িক ও শিষ্ঠাচারবর্হিভূত মন্তব্যে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা ছাপিয়ে দেশজুড়েই চলছে তোলপাড়।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ ডিসেম্বর। ওইদিন বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটস ও বরিশাল বুলসের এলিমিনেটর ম্যাচের ম্যাচ রেফারি ছিলেন রকিবুল হাসান। এই টস নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি প্রতিবেদন করে একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিবেদক প্রতিবেদক দেব চৌধুরী।
এতেই ক্ষেপে যান রকিবুল। ওই রিপোর্টারের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, নিজের খুঁটির জোর নিয়ে অহংকার আর বিসিবি ও বিপিএল সংশ্লিষ্টদের নিয়ে অরুচিকর মন্তব্য করেন রকিবুল।
একাত্তর টেলিভিশনকেই দেওয়া এক সাক্ষাতকারে রকিবুল হাসান বলেন, ‘একজন ম্যাচ রেফারি হলো ম্যাচের খোদা। ম্যাচ রেফারি চাইলে প্রধানমন্ত্রীকেও মাঠ থেকে বের করে দিতে পারে। আমি রাইট বলি, রং বলি- ম্যাচ রেফারি যা বলবে তাই রাইট। এতে আপীলও চলে না।’
রকিবুল হাসান একাত্তর টেলিভিশনের সেই প্রতিবেদক সম্পর্কে বলেন, এরা সুবিধা নেয়, বহু জায়গা থেকে। এরা হিন্দু, এরা এজেন্সি করে, ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের। ঘরের মধ্যে শত্রু শালা…’
এরপর ওই প্রতিবেদককে হুমকি দিয়ে রকিবুল বলেন, ‘ঢাকায় থাকা কিন্তু মুশকিল হয়ে যাবে। আমার কথায় অনেকে ওঠবস করে। একটু পরেই আসবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা।’
রকিবুল বলতেই থাকেন, ‘বিসিবির পাপান চাপন,কামাল চামাল কাউকে আমি গুনি না। আমার বাড়ি গোপালগঞ্জ। ঘাড়ের রগ বেঁকা। আমার টাকার অভাব নেই।’
এই সাক্ষাতকারে চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে আরো অনেক অশোভন মন্তব্য করতে দেখা যায় সাবেক এই ক্রিকেটারকে।
তার এই সাক্ষাতকার টেলিভিশনে প্রচারের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এদিকে টস নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বরিশাল বুলস কর্তৃপক্ষ বিপিএল আয়োজক কমিটিকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রদান করে।
এরপ্রেক্ষিতে সোমবার সকল ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে রকিবুল হাসানকে।
।। আপডেট : ০৬:৩০ এএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
ডিএইচ