চাঁদপুর শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে অবস্থিত গরিব-অসহায় থেকে সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা পাওয়ার জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে দূর দুরান্ত থেকে অসহায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে ঠিক মতো চিকিৎসা নেবে থাক দালালদের উৎপাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না।
এই দালালরা প্রতিনিয়তই সদর হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে টিকেট কাউন্টার, জরুরি বিভাগ, এক্স-রে বিভাগ, প্যাথলজি বিভাগের সামনে রোগীদের নিয়ে টানা হেচড়া শুরু করে। এদের কারণে গরিব মানুষের মরিচ, ধান কারোবা পায়ের ঘাম মাথায় ফেলা টাকা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও ওইসব দালাল তাদেরকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন যায়।
তারা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে দালালরা ফিফটি পারসেন্ট কমিশন নিয়ে যায়। এ দালাল চক্রের মধ্যে মাঝে মাঝে ঝগড়া করতেও দেখা যায়। এই মধ্যে দালালচক্রের মধ্যে গ্রীন ভিউ’র নাসিমা, পূর্ণিমা রাণী, শেফালী এবং ফেমাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাদিরা ও নাজমা, আজাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খুশিদা বেগমসহ শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আরো অনেকেই রয়েছে।
এরা প্রতিনিয়তই একের পর এক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে ওইসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী প্রেরণ করে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজকারবার।
দালালদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান পরিচালিত হলেও দু’একজন ধারা পড়ে আবার আইনের ফাঁক ফোকরে এরা বেরিয়ে এসে আবার পুরোনো কাজকর্ম শুরু করে।
মো. জাবেদ হোসেন, ক্রাইম রিপোর্টার
|| আপডেট: ০৪:৩২ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur