ম্যানহোলে পড়ে যাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে শিশু নীরবের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে শিশু নীরবের ময়নাতদন্ত শেষ হয়। এর পর তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শিশু নীরবের ময়নাতদন্তকারী চার সদস্যের চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের প্রধান ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. কাজী মোহাম্মদ আবু শামা জানান, ম্যানহোলে পড়ে যাওয়ার ১০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে শিশুটির মৃত্যু হয়। তার শরীরের পাকস্থলী ও ব্রেনে পানি ছিল। অর্থ্যাৎ পানিতে ডুবেই শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্য তিন চিকিৎসক হলেন- সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম শফিউজ্জমান, প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. কবির সোহেল। এর আগে শিশুটির সুরতহাল রিপোর্ট করেন কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান। তিনি সুরতহাল রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন, শিশুটির সারা শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল।
এদিকে শিশু নীরবের ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাবা রেজাউল করিম তার ছেলের লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পশ্চিম বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে ছেলের লাশ দাফন করা হবে।
প্রায় চার ঘণ্টা পর নিখোঁজ শিশু নীরবের নিথর দেহ শ্যামপুর স্লুইসগেট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই স্লুইসগেট দিয়ে স্যুয়ারেজের পানি বুড়িগঙ্গায় পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার শ্যামপুর বাজারের পালপাড়া জাগরণী ক্লাবের সামনের খোলা ম্যানহোলে নীরব হোসেন ইসমাইল (৫) পড়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে নীরবের নিথর দেহ শ্যামপুর স্লুইসগেট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। এই স্লুইসগেট দিয়ে স্যুয়ারেজের পানি বুড়িগঙ্গায় পড়ে।
নিথর নীরবকে পরে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহেল রানা নীরবকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৩:৪৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur