আটা, ময়দা, চীনা মাটি ও চুনা পাউডার দিয়ে তৈরি করা হতো ম্যাসেজ করার ক্রিম, ফেসওয়াস ও বডি লোশন। আর পাম ওয়েল ও সয়াবিন তেল দিয়ে তৈরি হতো নামি ব্র্যান্ডের ওলিভ ওয়েল ও চুলে ব্যবহৃত নকল তেল।
বিষাক্ত, অপরিশোধিত ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান দিয়ে এসব প্রসাধন সামগ্রী তৈরির দায়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া এলাকায় সাদিয়া হারবাল প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আবির হোসেনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এপিবিএন-৫ ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আজ সোমবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই অভিযান চালান। অভিযানে দেখা যায়, কারখানাটির বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। অনুমোদন ছাড়াই তারা প্রসাধন সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল।
এপিবিএন ৫-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জরিমানা ও সাজার আদেশ দেন। এ সময় ভেজাল ও বিষাক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি স্কিন টোনার, হারবাল ম্যাসেজ, হেয়ার স্প্রে, হেয়ার রিমুভার, স্ক্রাব, চুলের তেল ও বিভিন্ন ব্যান্ডের নামে তৈরি করা বিপুল প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এসব পণ্য ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন ৫-এর সহকারী পুলিশ সুপার এ এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ১৫ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করার পর আমরা এ ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছি। তারা দীর্ঘ দিন থেকে ভারত, ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের নাম করে এসব প্রসাধন সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল, যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
অভিযানে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী বলেন, ‘বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে ভেজাল প্রসাধন সামগ্রী বিক্রি করে প্রতারিত করায় সাদিয়া হারবালের ব্যবস্থাপক আবির হোসেনকে উপযুক্ত জরিমানা ও সাজা দেওয়া হয়।’
অভিযান পরিচালনাকালে বিএসটিআইয়ের ফিল্ড কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, এসব বিষাক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৯:২৩ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫, সোমবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur