সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটাতে ‘আয়না পরীক্ষা ও নদীর পানি’ খাইয়ে মরণব্যাধি ক্যানসার সারানোর মিথ্যা প্রচারণাসহ সীমাহীন ভন্ডামীর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে বর্তমানে দৌড়ঝাপ চালিয়ে যাচ্ছে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস নামের ওই ‘ভন্ডবাবা’ সহ অপকর্মের অন্যান্য হোতারা।
বিগত প্রায় মাসখানেক ধরে দেবহাটার সখিপুর ধোপাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ছবিয়ার রহমানের পুত্র ও সাবেক ইউপি সদস্য আনারুলের বাড়ীতে মরনব্যাধি ক্যান্সার সারানো সহ সর্বরোগের চিকিৎসায় কথিত চেম্বারের নামে প্রতারনার আস্তানা বানিয়ে অব্যাহতভাবে শতশত রোগী ও তাদের অসহায় স্বজনদের সর্বশান্ত করে আসা ওই ভন্ডবাবা রুহুল কুদ্দুস কালীগঞ্জের বিষ্ণুপুরের নৌবাসপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
গত ১৪ নভেম্বর শনিবার বিভিন্ন পত্রিকায় মরনব্যাধি ক্যান্সার সারানোর নামে প্রতারনা করার তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশের পর সাময়িকভাবে ভন্ডামী কর্মকান্ড থেকে লাপাত্তা হয়ে দৌড়ঝাপ, প্রতারক চক্রে সদস্য বৃদ্ধিসহ প্রশাসন ম্যানেজের বিভিন্ন পরিকল্পনা শুরু করে তারা।
১৬ নভেম্বর কথিত চেম্বারের নামে প্রতারনার আস্তানাখ্যাত আনারুলের বাড়ীতে গভীর রাত পর্যন্ত চক্রের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয় বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে।
তাছাড়া ওই পরিকল্পনাকালীন বৈঠকসহ গভীর রাতের নৈশভোজে একাধিক ও পৃথক মামলার বেশ কয়েকজন আসামী উপস্থিত ছিলো,যাদের মধ্যে একজন জামায়ত এবং ৩/৪ বিএনপি’র সক্রিয় কর্মী রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে দায়িত্বশীল ঐ সূত্রটি।
পরবর্তীতে চুড়ান্ত নুতন পরিকল্পনা অনুযায়ী এখনও রবি ও সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত শতাধীক রোগীদের প্ররোচিত করে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫’শ থেকে ৩ হাজার টাকা হারে আদায় পরবর্তী চিকিৎসা এবং ঔষধের নামে আয়না পরীক্ষা,নদীর পানি ও সরিষার তেল বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভন্ডবাবা রুহুল কুদ্দুস ও তার অপরাপর সহযোগীরা। গতকাল রবিবারও একইভাবে অসহায় রোগীদের প্রতারিত করা হয়েছে বলে এ চক্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
পাশাপাশি মরনব্যাধি ক্যান্সারের ওষধ আবিষ্কারে যেখানে উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞান ও গবেষকরা অদ্যবধি হাবুডুবু খাচ্ছে,সেখানে আয়না পরীক্ষা করে নদীর পানি-সরিষার তেল কিংবা বেনামী হোমিওপ্যাথিক দিয়ে আদৌ ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব বা বিশ্বাসযোগ্য হবে কিনা সে প্রশ্ন এখন সর্বস্তরের মানুষের। আর তাই অবিলম্বে উক্ত ভন্ডবাবা রুহুল কুদ্দুস সহ এসকল সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে প্রতারনার শিকার অসহায় ভুক্তভোগীরা।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৮:৩৩ পিএম,৩০ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur