Home / বিশেষ সংবাদ / সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরলেন জন স্নো
সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরলেন জন স্নো

সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরলেন জন স্নো

ইউল্যাব মিলনায়তনে বক্তৃতা করেন ব্রিটিশ সাংবাদিক জন স্নোপ্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকতায় নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। সম্প্রচার সাংবাদিকতা স্বর্ণযুগে প্রবেশ করছে। এ সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও সক্ষমতা না থাকলে পেশায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে সাংবাদিকদের জন্য। প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক জন স্নো এমনটাই মনে করেন।

বুধবার রাজধানীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) মিলনায়তনে ‘সাংবাদিকতার স্বর্ণযুগে প্রবেশ’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় জন স্নো তাঁর এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

১৯৭৬ সালে সাংবাদিকতা শুরু করা জন স্নো ১৯৮৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ফোর-এর পরিচিত মুখ। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি বিশ্বব্যাপী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। বার্লিন দেয়ালের পতন কিংবা নেলসন ম্যান্ডেলার মুক্তি, বারাক ওবামার ক্ষমতা গ্রহণ কিংবা হাইতির ভূমিকম্প—এ রকম অনেক বড় ঘটনায় সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন।

গতকালের বক্তব্যে জন স্নো বলেন, সংবাদমাধ্যমের বিস্তার ঘটলেও মানুষ ‘ব্র্যান্ডের’ ওপর নির্ভর করে। খবরের নির্ভরযোগ্যতার জন্য বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম বা ব্যক্তিকে ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। তাঁর মতে, নানা মাধ্যম থেকে খবর পেলেও ওই সংবাদের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা মানুষ যাচাই করে নেয়। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
জন স্নো বলেন, সাংবাদিকের কাজ শুধু বিনোদন দেওয়া কিংবা তথ্যের মাধ্যমে মানুষের ক্ষমতায়ন নয়। সঠিক তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখতে হবে সাংবাদিকদের। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সম্প্রচার সাংবাদিকতা এখন আর টেলিভিশনের পর্দাতেই সীমাবদ্ধ নেই। নিজস্ব ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতেও এসব খবর তুলে ধরা হচ্ছে। সেখানে সামান্যতম ভুলের অবকাশ নেই। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষও এখন তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে পড়েছে। এসব যোগাযোগ মাধ্যম প্রাথমিক তথ্যের উৎস হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় সাংবাদিকদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

ব্রিটিশ এই সাংবাদিক মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর কল্যাণে সাধারণ মানুষকে সংবাদ সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা যায়। এসব সংবাদকে প্রাথমিক উৎস বিবেচনা করে পরবর্তী সময়ে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে।

সম্প্রতি লিট ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন জন স্নো। এ সুযোগে তাঁর বক্তব্য শোনার আয়োজন করে ইউল্যাব।

সূত্র : প্রথম আলো

নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ০৪:৪৮  পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার

এমআরআর