বহুল আলোচিত ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায় শুনে দণ্ডিত পরিমল তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
রায় ঘোষণা শেষে বিচারক এজলাস ত্যাগ করলে উপস্থিত সাংবাদিকদের কেউ কেউ তার প্রতিক্রিয়া জানতে চান। পরিমলও বলতে শুরু করলেন। তিনি (পরিমল) বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মহামান্য বিচারক আদেশ দিয়েছেন। আমি কি বলতে পারি? দুই মাসের মধ্যে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’
এর কিছু সময় পর অপরাপর সিনিয়র সাংবাদিকরা আবারও তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি বলেন, ‘রায় শুনলাম’। এসময়ই তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান তাকে বললেন, ‘একদম চুপ, কোনো কথা বলবেন না।’ সাথে সাথে একেবারে নিশ্চুপ হয়ে গেলেন পরিমল। তবে আইনজীবীর পরামর্শে চুপ হয়ে গেলেও মুখাবয়বে তার বলার আকুতি ছিল সুস্পষ্ট।
অবশেষে তাকে যখন ট্রাইব্যুনাল থেকে কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন নিঃশব্দে অঝোরে কাঁদছিলেন পরিমল।
ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত শিক্ষক পরিমল জয়ধরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই ছাত্রীকে ২০১১ সালের ২৮ মে ধর্ষণ করেন শিক্ষক পরিমল জয়ধর। ওই সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। পরে ওই ভিডিও বাজারে ছাড়ার কথা বলে ওই বছরের ১৭ জুন ফের ধর্ষণ করেন তিনি।
ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে ৫ জুলাই বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারায় পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের করার দু’দিন পর ২০১১ সালের ৭ জুলাই ভোররাতে কেরানিগঞ্জের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পরিমলকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
২০১২ সালের ৭ মার্চ মামলাটিতে আসামি পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পরিমল জয়ধর কারাগারে রয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক || আপডেট: ১০:০৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৫, বুধবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur