চাঁদপুরের মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর তীর জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও সেই ভাঙলকবলিত স্থান থেকেই নির্বিঘ্নে চলছে মাটি কাটা। বেআইনীভাবে নদী তীরের এসব মাটি কেটে ব্যবহৃত হচ্ছে ইট ভাটায়। আবার কেউ কেউ মাটি কেটে বিক্রিও করছেন।
ফলে ওইসব এলাকার নদী ভাঙন আরো তীব্র হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ফসলি জমিসহ হাজার হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী ওই চক্রটি সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে তাদের অপকর্ম।
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা ও ধনাগোদা নদী তীরবর্তী এলাকা জুড়েই চলছে ভাঙন আর অপরদিকে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। এ মাটি কেটে নিচ্ছে ইটভাটার মালিক চক্র। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে মাটি কাটার হিড়িক। অথচ অবৈধ এই মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসন কোন ভূমিকা না রাখায় মাটিখেকোরা ক্রমশঃ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এক শ্রেণির ইটভাটা মালিক শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে নদী তীরের মাটি কেটে নিচ্ছে। প্রতিদিনই উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চল, ধনাগোদা নদী তীরবর্তী মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নিচু জমির মাটি কেটে ট্রাক্টর ও ট্রলারে করে নিয়ে যাচ্ছ ইটভাটা মালিকরা। তারা কাউকেই তোয়াক্কা করছে না। ফলে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো ক্রমশঃ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তা বলেন, নদী তীরের মাটি কাটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এভাবে মাটি কাটা অব্যহত থাকলে প্রকল্পের হাজার হাজার মানুষ ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। দ্রুত অবৈধ এ কর্মকাণ্ড বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।। আপডেট: ০১:৪২ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার