রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেছেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ছেলে আলী আহম্মদ মাবরুর।
রোববার ভোরে মুজাহিদের মরদেহ ফরিদপুরে নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর পর মাবরুর এ দাবি করেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মাবরুর দাবি করে বলেন, ‘প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন, বোগাস এবং প্রশাসনের একটি সাজানো নাটক।’
কারাগারে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে বাবা মুজাহিদ ও ছেলের মধ্যে এসব বিষয়ে কথা হয়েছে বলে দাবি করেন মাবরুর। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে কারাগারে বাবা (মুজাহিদ) জানিয়েছেন তিনি কোনো মার্সি পিটিশন করেননি।’
কারাগারে সাক্ষাৎ করতে গেলে মুজাহিদ সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তার ছেলে মাবরুরকে বলেন, ‘এ জালিম সরকারের কাছে আমার প্রাণভিক্ষা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই সরকার গত ৫ বছর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মিথ্যা মামলা দিয়ে মিথ্যাচার করেছে। আজ এই শেষ মুহূর্তে এসেও তারা মিথ্যাচার অব্যাহত রেখেছে।’
জামায়াতের ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ তার ছেলেকে আরো বলেছিলেন, ‘মূলত আমাকে আমার দলের কাছে, আমার পরিবারের কাছে, দেশের মানুষের কাছে হেয় করার জন্য, কাপুরুষ বানানোর জন্য তারা এ মিথ্যা অপপ্রচারের নাটক করেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২১ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টা ৫৫মিনিটে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ফাঁসির পর সকল কার্যক্রম শেষ করে রাত ২টা ৫৩ মিনিটে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশ ও র্যাবের পাহারায় মুজাহিদের মরদেহ তার নিজ এলাকা ফরিদপুরের খাবাসপুরে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
।। আপডেট: ০৭:৪৭ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০১৫, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur