চাঁদপুরে তিন দফা দাবিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বার্ষিক পরীক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় বাধ্য হয়ে অভিভাবকদের নিয়েই পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শহরের কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শিক্ষকরা জানান, সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম হাসান আলী বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে দেন। তবে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না থাকায় পরীক্ষা গ্রহণে অংশ নেন অভিভাবকরা।
হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইনুন নাহার বলেন, “আমাদের পূর্বের তিন দফা দাবি বহাল রয়েছে। দাবি মেনে নেওয়া হলে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাব।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চাঁদপুর জেলায় প্রায় ১ হাজার ২০০-এর বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং শিক্ষক সংখ্যা ৮ হাজারেরও বেশি।
ওই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. মনির হোসেন বলেন, “দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছি। সমাধান হলে আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরবো। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বাধা হোক-এটা আমরাও চাই না।”
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা ক্লাস না নেওয়ায় ও কর্মবিরতি চলায় পরীক্ষার বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এতে সন্তানদের প্রস্তুতিতেও ঘাটতি দেখা দেয়। তারা সরকারের প্রতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান।
পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরাও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা এভাবে পরীক্ষা দিতে চাই না। আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। স্বাভাবিক পরিবেশে পরীক্ষা দিতে চাই।”
শিক্ষকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে কিনা-এ বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজমান রয়েছে।
প্রতিবেদক: মুসাদ্দেক আল আকিব/
৩ ডিসেম্বর ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur