চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার তেতৈয়া গ্রামের যুবক সাইফুল ইসলাম শরীফ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে অর্থের অভাবে আর বেশি দূর এগোতে পারেননি।
পরবর্তীতে সংসারের হাল ধরতে বেছেঁ নেন ইলেকট্রিক ও রাজমিস্ত্রির মতো পরিশ্রমের কাজ। একসময়ে মুঠো ফোনের কল্যানে ইউটিউবের মাধ্যমে রঙ্গিন মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ে তার। সাইফুল ইসলাম শরীফ জানান, প্রায় বছর খানিক আগে ৬ হাজার ৫শ টাকা নিয়ে প্রথমত রঙ্গিন মাছ চাষ শুরু করি।
বর্তমানে নিজ বাড়িতে প্রায় ৪০টির মতো সেটে রঙ্গিন একুরিয়ামে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষাবাদ করছেন। এতে করে সকল খরচ মিটিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হয়ে থাকে। তবে ভবিষ্যতে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকার আয় করতে চান তিনি। সাইফুল ইসলাম শরিফ জানান, বুদ্ধি ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এ পেশায় রয়েছেন। যারা ঘর ও হোটেল রেস্তোরায় রঙ্গিন মাছের মাধ্যমে সুসজ্জিত করতে চান তার কাছ থেকে চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন জাতের মাছ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
বর্তমানে রঙ্গিন মাছগুলো কিভাবে বাজার জাত করা হয় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে তার কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের এ মাছ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি স্থানীয় বাজারে খুচরা মূল্যে মাছ বিক্রি করছেন। ভবিষ্যতে কেউ এ জাতের মাছের চাষ করতে চাইলে তিনি পরামর্শ দিবেন বলেও তিনি জানান।
এব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো: জহিরুল ইসলাম জানান, বাণিজ্যিক ভাবে একুরিয়াম জাতের রঙ্গিন মাছ চাষের বিষয়টি এ উপজেলায় প্রথম। সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি আমরা খোঁজ-খবর নিবো এবং আরো ব্যাপক আকারে একুরিয়াম মাছ চাষে বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করা হবে।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু,
১৬ নভেম্বর ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur