মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আগামীকাল (মঙ্গলবার) দিন ধার্য রয়েছে। কার্য তালিকায় আসলে আগামীকালই (মঙ্গলবার) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এই দুই আসামির করা রিভিউ আবেদনের শুনানি হবে। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, আপিল বিভাগের প্রকাশিত রায় পাঠ করে আমার মনে হয় রিভিউয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যেসব যুক্তি তুলে ধরবেন তাতে দণ্ডিতদের খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আশা করি, রিভিউয়েও সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের ফাঁসির দণ্ড বহাল থাকবে।
মামলায় দুটির আইনি লড়াই শুরু হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। এখন শেষের পালা। মানবতাবিরোধী এই দুই অপরাধীর আইনি লড়াই রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের শেষ ধাপে। শুরুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আপিল আবেদনের সিদ্ধান্তের পর এবার রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পরিণতি নির্ভর করছে মূলত এই শুনানিতেই। এখন স্বাভাবিকভাবেই সবার দৃষ্টি সুপ্রিমকোর্টের দিকে। কী হবে সর্বোচ্চ আদালতে। রিভিউ খারিজ হলেই আসবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়।
স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান, বর্তমানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে ১৬ জুন নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট। আর গত ২৯ জুলাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসিও বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের জুলাই এবং অক্টোবরে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর আইনি লড়াই শুরু হয় মূলত ২০১০ সালে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার মামলায় মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয় ২০১০ সালের ২৯ জুন। অপরদিকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রেফতার হন সাকা চৌধুরী। পরে তাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধের আলাদা দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৩:৫৩ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০১৫, সোমবার
এমআরআর