Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে বাবা-মেয়ে দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত
বাবা

হাজীগঞ্জে বাবা-মেয়ে দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত

মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এভাবেই যুগের পর যুগ সহযোগিতা কামনা করে অস্বচ্ছল পরিবারের চিকিৎসা সেবা এগিয়ে আসছে মানুষ। আর একেই বলে দশের লাঠি একের বোঝা। বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে একটি অস্বচ্ছল পরিবারের চিকিৎসার খরচের টাকা যোগান দিতে সহজ হবে। এমনি এক বাস্তবতার মুখোমুখি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার সীমান্তবতী এলাকার ১০ নং টামটা দক্ষিণ ইউনিয়নের আলিপুর পাটোয়ারী বাড়ির মৃত তৈয়ব আলী পাটোয়ারী ছেলে মো: নুরুল আমিন পাটোয়ারী দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা দিন। তার চিকিৎসার জন্য বহু টাকা প্রয়োজন।

আসুন আমরা সবাই এগিয়ে আসি, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি অসহায় মো: নুরুল আমিন পাটোয়ারী পেতে পারেনা। অসুস্থ নুরুল আমিনের হাড়ে ছিদ্র হয়ে পানি জমে গেছে। তার চিকিৎসার জন্য বহু টাকা প্রয়োজন। যদি কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি আর্থিক সহযোগিতা দিতে চান তাহলে তার মোবাইল নাম্বার 01891586241 বিকাশ ও নগর করা আছে। এছাড়াও উয়ারুক সোনালী ব্যাংক শাখায় হিসাব নাম্বার ১৫১৯৮০১০২০১১৬ আপনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

দৈনন্দিন কত টাকা কত ভাবে খরচ করে ফেলি। এই অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে অপচয় রোধ করে। চা পান সিগারেটের টাকা সঞ্চয় করে হলেও আমাদের উচিত এই অসহায় মানুষটার পাশে দাঁড়ানো। হয়তো আমার আপনার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টাকায় তার ব্যয়বহুল চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব। কথায় আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালি কনায় পাহাড় পরিমান সমতুল্য হয়। দেশ-বিদেশ থেকে যে যেখান থেকে দেখছেন সবাই এই হৃদয়বিদারক সংবাদটি পড়ে আপনি আপনার জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর পক্ষে মোহাম্মদ নূর হোসেন মেহেদী সহ অনেকেই বলেন, নুরুল আমিন ও মেয়ে জান্নাত কে বাঁচাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। বিত্তবান মানুষ গুলো যদি একটু এই অসহায় পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন। তাহলে হয়তো বা বাবা মেয়ে চিকিৎসা করে সেরে উঠবে। দু নয়নে দেখবে দুনিয়ার আলো। প্রাণভরে সবার জন্য করবে দোয়া। বাবার হাড় ছিদ্র হয়ে পানি জমেছে, মেয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতিমাসে মেয়েটির জন্য এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। এই অসহায় মানুষগুলো লবণ আনতে পান্তা পুড়ায়। দু মুঠো ডালভাতের জোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়। কিভাবে অপারেশনের এত টাকা যোগান দিবে এবং প্রতিমাসে মেয়ের জন্য এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করবে। তাই এলাকাবাসী হয়ে সবার কাছে আবারো অনুরোধ করছি। সবাই একটু এই অসহায় পরিবারটির দিকে সুদৃষ্টি দিন।

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার রুমা বলেন, আমি দুই ছেলে আলামিন ও আহম্মদ এবং থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত মেয়ে জান্নাত কে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছি। তার প্রতিমাসে এক ব্যাগ রক্ত লাগে। রক্তর টাকা যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয়। এরই মাঝে গত দুই মাস ধরে স্বামী মো: নুরুল আমিন পাটোয়ারীর হাড়ে ছিদ্র হয়ে পানি জমে গেছে। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এমন তথ্য প্রকাশের পর যেন আসমান ভেঙ্গে আমাদের পরিবারের উপর পড়ে। একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি যখন অসুস্থ তাহলে কিভাবে মেয়ের রক্ত জোগাড় করব অন্যদিকে স্বামীর অপারেশনের জন্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা প্রয়োজন মিটাবো। আমি ভেবে কূল কিনার পাচ্ছিনা। পরিবারের ৫ সদস্যর সংসার চলতো স্বামীর ক্ষুদ্র আয়ের টাকা দিয়ে। তিনি গ্রামে কুঠারের কাজ করতেন। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে সে কাজটুকুও বন্ধ। আমাদের জীবন এখন সংকটময়। আপনারা আমাদের পাশে একটু দাঁড়ান। আমার স্বামী এবং মেয়েকে বাঁচান।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়
৩১ অক্টোবর ২০২৫