লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মা ও মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সারাদেশে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে বা পরে উপজেলার উত্তর চণ্ডিপুর গ্রামের খামারবাড়ি এলাকায় একটি দুইতলা ভবনে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল বারী জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে—ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় সোহেল রানা (৩৫) নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে আটক সোহেল রানা তার চাচা মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন জমি থেকে জোরপূর্বক কয়েকটি গাছ কেটে নেয়। এ ঘটনার জেরে সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী ‘মিজান ক্রোকারিজ’-এর মালিক মিজানুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে ভাতিজা সোহেল রানাকে মারধর করেন।
এ সময় নিহত তানহা আক্তার মীম তার বাবা মিজানুর রহমানকে সোহেল রানাকে পেটানোর জন্য লাঠি এগিয়ে দেন বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, সোহেল রানা মিজানুর রহমানের আপন ভাতিজা। পারিবারিক দ্বন্দ্বের সূত্রে আগেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
ঘটনার পরদিন রাতেই সন্দেহভাজন সোহেল রানা বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় বক্তব্য দেন, যা স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী “মূল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা” ছিল।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ, সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। প্রায় পাঁচ বছর আগে রামগঞ্জ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় বসবাস শুরু করে সে। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রামে ফিরে আবারও মাদক বিক্রি, সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত আছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি/
১১ অক্টোবর ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur