কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষী ছাত্রাবাস ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলের ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রাবাসটি শুয়ারুল গ্রামের মোঃ হাসান নামের এক ব্যাক্তির কাছে বাৎসরিক ২৫ হাজার টাকায় চুক্তিতে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠে।
ছাত্রাবাসটি ভাড়া দেয়ায় বর্তমানে দুর দুরান্তগামী শিক্ষার্থীরা এখন ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, ১৯১৬ সালে ঐতিহ্যবাহী সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানে বিগত দিনে লেখাপড়ায় ভালো ফলাফর অর্জন ছিল এ ছাত্রাবাসটি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন ও কিছু শিক্ষকের খাম খেয়ালিপনার কারণে ছাত্রাবাসটি ধ্বংসের পথে এবং বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বিলীন হচ্ছে। যেখানে ছাত্ররা থাকার কথা সেখানে এখন ভাঙ্গারীর মালামাল রাখা হয়। ছাত্রাবাসটি উদ্ধার করে আগের মতো ছাত্রদের মাধ্যমে ছাত্রাবাসটি চালুর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এব্যাপারে সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন মোল্লার বক্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসটি ভাড়া দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা ভাড়া দিয়েছে কিনা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে খোঁজ-খবর নিন। তবে ভাড়া দেওয়ার নিয়ম নেই।
কচুয়া প্রতিনিধি/ ৬ অক্টোবর ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur