২০১৪ সালে এক মার্কিন সাংবাদিকের মস্তক দেহ থেকে আলাদা করে দিয়েছিল আইএস জঙ্গি জিহাদি জন। জীবন্ত অবস্থাতেই ফিনকি দিয়ে রক্ত ছিটকে পড়েছিল চরিদিকে।
সারা বিশ্বকে নির্মম এই হত্যালীলার ভিডিও নাড়িয়ে দিয়েছিল। এর পরপরই ইসলামিক স্টেট গ্রুপের জিহাদিদের দমনে মার্কিন প্রশাসন আরো তৎপর হয়ে উঠেছিল। কিন্তু তার পরই একই কায়দায় আরো এক সাংবাদিককে খুন করা হয়। তখন থেকে অনেক খোঁজ চলেছে। কালো কাপড়ের আড়ালে থাকা এ সন্ত্রাসবাদীকে পরে চিহ্নিতও করা গিয়েছে। আইএস জঙ্গি মুহাম্মদ এমওয়াজি। বিশ্ব যাকে ‘জিহাদি জন’ নামেই চেনে।
বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ায় এক বিমান হামলায় সে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মার্কিন প্রশাসনের দাবি, ২৬ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক আইএস জঙ্গি ওই রাতে একটি বহুতল ভবন থেকে বেরিয়ে নীচে দাঁড় করানো একটি গাড়িতে ওঠে। তখনই ওই গাড়ি লক্ষ্যকরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিমান হামলা চালায়। ‘জিহাদি জন, এখানেই রয়েছে বলে তাদের কাছে আগাম খবর ছিল।
কুয়েতের একটি উদ্বাস্তু পরিবারে ‘জিহাদি জন’-এর জন্ম। সেখানের নাগরিকত্ব না মেলায় পরে সে ১৯৯৩ সালে বাবা-মার সঙ্গে ব্রিটেনে চলে আসে। সে লন্ডন থেকে কম্পিউটার প্রোগ্রামারের ডিগ্রি অর্জন করে। বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য ২০০৯ সাল থেকে সে নিরাপত্তা সংস্থার নজরে আসে।
নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার
এমআরআর
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur