চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৬ জন শিক্ষকের পাঠদান। এক গ্রামে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে বলে শিক্ষকদের এমন মন্তব্য। অভিভাবক ও গ্রামবাসী বলছেন প্রধান শিক্ষকসহ অধিকাংশ শিক্ষক স্থানীয় হওয়ায় পাঠদানের বিষয় উদাসীন। যে কারনে দিন দিন শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে এমন বাস্তব চিত্র দেখাযায়, উপজেলার ১২০ নং পাতানিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ৫ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস নিচ্ছেন এক শিক্ষিকা। উপস্থিত শিক্ষার্থী মুনতাহা, রাবেয়া আক্তার, ইশরাত, জুনায়েদ ও সালমা আক্তার। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতা অনুযায়ী দেখা যায়, ৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সব সময় এ পাঁচজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসেন। একই ভাবে দেখা যায় ৪র্থ শ্রেণীর ১১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ৫ জন, ৩য় শ্রেণীর ৮ জনের মধ্যে উপস্থিত ৫ জন শিক্ষার্থী।
এতো কম সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীর জন্য ৬ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত এরা হলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া পারভীন, হাওয়া আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, আব্দুল হাই ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে কাগজে কলমে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগপ্রাপ্ত থাকলেও উপস্থিত পাওয়া যায় ৩ জন নারী শিক্ষককে। এর মধ্যে একজন শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটি , আরেকজন ট্রেনিং রয়েছেন।
পাতানিশ গ্রামের কাউছার হোসেন বলেন, আমাদের এ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না। মূলত প্রধান শিক্ষক স্থানীয় হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারে না। যে কারনে দিন দিন পড়াশোনার মান কমে যাওয়ার সাথে কমেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
১২০ নং পশ্চিম পাতানিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামকে বিদ্যালয়ে না পেয়ে তার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বিদ্যালয়ের কাজে বাহিরে আছেন এবং সরাসরি কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়টির একাডেমি ভবনের অভাবে কিছুদিন পূর্বে টিন সেট ঘর করার জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এটিও মিজানুর রহমান পাটোয়ারী ঐ বিদ্যালয়ের পাঠদানের বিষয় বলতে পারবে। আমি বিষয়টি দেখতেছি।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়/ ২৪ আগস্ট ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur