হাজীগঞ্জের উচ্চতর ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর অসামান্য অবদান আজ দৃশ্যমান রয়েছে। তৎকালীন বেশ ক’জন সমাজ হিতৈষীগণের সার্বিক সহায়তায় , পরামর্শ ও কায়িক শ্রমে , আর্থিক ও মানসিক সহায়তায় আজকের হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ, হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসাকে কামেল পর্যন্ত উন্নীতকরণ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং হাজীগঞ্জ আহমেদিয়া কাওমী মাদ্রাসা স্থাপন,পরিচালনা, মুনিরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা স্থাপনে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর অসামান্য অবদান রয়েছে।
তাঁর মেধা, অদম্য সাহাস ও কায়িক শ্রমের ফলে হাজীগঞ্জের উচ্চতর ডিগ্রি ও কামেল পর্যন্ত কলেজ ও মাদ্রাসাটি হাজীগঞ্জের উচ্চতর শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল। হাজীগঞ্জে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো ।
হাজীগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্যেও স্থান করে নিয়েছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। শত শত উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যাক্তিত্ব ঘরে ঘরে রয়েছে হাজীগঞ্জে। শত শত আলেম তৈরির কারখানা বা ধর্মীয় শিক্ষার বাতিঘর হিসেবে খ্যাত হাজীগঞ্জ আহমাদিয়া কামেল মাদ্রাসাটি। দেশ-বিদেশে এসব প্রতিষ্ঠানের সুনাম দিন দিনই বাড়ছে।
হাজীগঞ্জের প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় রয়েছে ইসলামের ঝান্ডাবহনকারী হাজারো দাখেল-আলেম-ফাজেল ও কামেল ডিগ্রিধারী। কোরআনের পাখি নামে খ্যাত কোরআনে হাফেজ হচ্ছে প্রতি বছর বছর হাজীগঞ্জ আহমেদিয়া কাওমী মাদ্রাসা ও মুনিরিয়া মাদ্রাসা থেকে। ফলে হাজীগঞ্জ তথা চাঁদপুর জেলায় দ্বীনি আলেম হিসেবে সমাজে খাঁটি ও ইমানদার মানুষ হিসেবে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে ।
হাজীগঞ্জ-চাঁদপুরের ধর্মীয় শিক্ষার অন্যতম বাতিঘর ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’। তাঁর পিতামহ আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ. ১৯৩১ সালে হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। ক্ষণজন্মা, দানবীর ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানব হিতৈষী আলহাজ্ব আহমদ আলী পাটোয়ারী রহ. আনুমানিক বারশ’ বঙ্গাব্দের শেষের দিকে হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ জন্মগ্রহণ করে।
তেরশ’ অব্দে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভিত্তি সূচনা করেন তিনি। সম্ভবত: এ মসজিদের জন্য যোগ্য ইমাম, মুয়াজ্জিন,খাদেম ও মুসল্লীর সংখ্যা বাড়াতে তিনি ‘ হাজীগঞ্জ দারুল উলুম সিনিয়র মাদরাসা’ নামে ১৯৩১ সালে মাদরাসাটি প্রথম মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে নির্মাণ করেন। যা পরবর্তীতে ১৯৪১ সালে ফাজিলে উন্নীত হয়।
১৯৯৫ সনে প্রতিষ্ঠাতার পৌঢ়পুত্র অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারীর প্রচেষ্টায় কামিল পর্যায়ে উন্নীত হয় এবং বর্তমান স্থানে পুন:স্থাপি হয়। প্রতিষ্ঠাতা মোতওয়াল্লীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমানে পরিচালনা বোর্ডও নিরলস ভাবে কাজ করছেন। সম্পূর্ণ দ্বীনি পরিবেশে বালক-বালিকাদের পৃথক শাখায় পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আলিম শ্রেণি পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগ চালু আছে। প্রতিষ্ঠানের গর্ভণিং বডি,শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল আজকের এ বাতিঘর নামে খ্যাত হাজীগঞ্জ দারুল উলুম আহমাদিয়া কামিল মাদ্রাসা’। মানসম্মত ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে আজকের এ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধেই জেলার শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রথম সারিতে স্থান করে নিয়েছে।
বর্তমানে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা-কর্মচারী রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্য অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই এর মূল লক্ষ্য। ইহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ঠদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।
হাজীগঞ্জ জামিয়া আহমদিয়া কাওমী মাদরাসা বিশ্বনন্দিত ইসলামী বিদ্যাপিঠ দারুলউলুম দেওবন্দের আদর্শ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদায় বিশ্বাসী পাঠ্যাদর্শভিত্তিক পরিচালিত একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা দ্বীনের হেফাজত প্রচার-প্রসার ও কুরআন-সুন্নাহর আদর্শ বাস্তবায়নে সর্বদা বদ্ধপরিকর।
ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শে অনুপ্রাণিত, হক্কানী আলেম, দাঈ, হাফেজ, ক্বারী, মাওলানা, মুফতী তথা ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, দার্শনিক, সাহিত্যিক তৈরি এবং সর্বোপরি দাওয়াতে দ্বীন তাযকিয়ার মাধ্যমে পথহারা মানুষকে ইসলামের সঠিক পথের সন্ধান দেয়া ও ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুনের পরিধি বিস্তৃত করে জাতিকে পাশ্চাত্যের কু-শিক্ষা ও অপসংস্কৃতির বিষফল থেকে হেফাজত করার লক্ষ্যে জানুয়ারি ২০০১ সনে প্রতিষ্ঠিত হয় অত্র জামিয়া । এ টির নাম জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসা। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামের কৃতিমান পুরুষ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.আলমগীর কবির পাটওয়ারী।
হাজীগঞ্জের হাজী মনাই হাজী ওরফে মুনিরুদ্দিন রহ. এর নামানুসারে তার সম্ম্নার্থে প্রতিষ্ঠা করা হয়- মুনিরুদ্দীন হাফেজিয়া মাদ্রাসা । এ প্রতিষ্ঠাটি কোরআনে হাফেজ তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান । প্রতিবছর এ খান থেকে কোরআনে হাফেজ হয়ে দেশের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় কর্মজীবনের সুযোগ লাভ করছে শত শত দ্বীনি ব্যাক্তিবর্গ। এর ভেতরের দি¦তীয় তলায় পরিচালিত অপর একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের নাম হলো- মুনিরিয়া নূরানী মাদ্রাসা ।
শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারীর পিতা ও হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় মোতওয়াল্লী মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী (র.) এর নামানুসারে ও তাঁর সম্মাানার্থে এর নাম রাখা হয়েছে- মুনিরিয়া নূরানী মাদ্রাসা।
হাজীগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম বা পাড়া থেকে শত শত শিশু-কিশোর এ প্রতিষ্ঠানে এলেম গ্রহণ করে আদর্শ নাগরিক হতে সুশিক্ষা প্রদান করছে – মুনিরিয়া নূরানী মাদ্রাসাটি। এসব প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা হলেন- শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী। আজ এর সুফল ভোগ করছে হাজীগঞ্জ তথা এ অঞ্চলের মানুষের সন্তানগণ।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা, অলীয়ে কামেল, আলহাজ্ব আহমাদ আলী পাটওয়ারী রহ. এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় জানুয়ারি ২০০১ সালে। জামিয়ার ওয়াক্ফদাতা হলেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স ও আহমাদ আলী পাটওয়ারী রহ. ওয়াক্ফ এষ্টেট-এর সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা অলীয়ে কামেল, আলহাজ্ব আহমাদ আলী পাটওয়ারী রহ.।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন -হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সম্মানিত মোতাওয়াল্লী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবি পাটওয়ারী। হাফেজ মাওলানা মুফতী মুহা. আব্দুর রউফ সাহেব দা.বা. খতীব, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ। এটি একটি খালেছ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ সব প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানেপরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন-তারঁ সুযোগ্য জেষ্ঠ্যপুত্র আলহাজ প্রিন্স শাকিল আহমেদ।
হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি কলেজটি দেশের জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কলেজটি ১৯৮৭ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহা পৌরসভার মকিমাবাদ মৌজার উত্তরে রেললাইন,দক্ষিণে বাজার,পশ্চিমে জেলা বোর্ডে র পাকা সড়কের পূর্বে অবস্থিত। ইহা প্রথমে একটি মহিলা মহাবিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। হাজীগঞ্জ মডেল কলেজটি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । এটি প্রথমে ৩১ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে হাজীগঞ্জ মহিলা মহাবিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
হাজীগঞ্জ মহিলা কলেজের নাম পরিবর্তন পূর্বক সহশিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ করার লক্ষ্যে গর্ভনিং বডির ৮ জুলাই ১৯৯৩ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ নামকরণ করার জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে আবেদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা বোর্ড ২৩ জুলাই ১৯৯৩ এর পত্রের মাধ্যমে কলেজের নামকরণ নিশ্চিত করে।
কলেজ স্থাপনে হাজীূগঞ্জের বিশিষ্ট সমাজসেবক বি.এম.কলিমউল্লাহকে আহবায়ক করে আবদুল আউয়াল, কলিমউল্লাহ মিয়াজী,ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী ও সোলায়মান মজুমদারসহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ সভায় শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন প্রাপ্তির লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার সাথে প্রস্তাবিত কলেজের সকল কার্যসম্পাদন করার জন্য সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক সোলায়মান মজুমদার,আবদুল লতিফ মিয়া ও ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারীকে শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদনের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে শাখা ও বিষয়সমূহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা– ১ জানুয়ারি ১৯৮৭ এর মাধ্যমে ১৯৮৭-’৮৮ শিক্ষাবর্ষ হতে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখা শিক্ষাবর্ষ শুরু করে।
প্রেক্ষাপট আলোকে ও সার্বিক আলোচনায় জানা যায়- বর্তমানে ডাকাতিয়া নদীর উত্তর পাড়ের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে যাওয়ার পথে নদী পারাপারের সময় ডাকাতিয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণ নদীর উত্তর পাড়ের বিশিষ্ট জনদের উদ্যোগের প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাধীন মকিমাবাদ মৌজার উত্তরে রেললাইন, দক্ষিণে হাজীগঞ্জ বাজার পশ্চিমে জেলা বোর্ডের পাকা রাস্তা ও পূর্বে হাজীগঞ্জ রঘুনাথপুর রাস্তার মধ্যস্থিত রেল লাইন সংলগ্ন উত্তরের মনোরম স্থানে প্রতিষ্ঠানে অবস্থিত ।
অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারীর সার্বিক দাযিত্ব পালনের কালেই কলেজটির একাডেমিক স্বীকৃতি, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি, আভ্যন্তরীণ শিক্ষা কার্যক্রমে শাখা বিভক্তি করণ, ডিগ্রি কোর্স,এ.ডি.বি.র অবমুক্তি, মার্স্টাস প্রিলিমিনারী খোলার অনুমতি, অবকাঠামো ও সরকারি উন্নয়ন,বেসরকারি উন্নয়ন, মাঠ সম্প্রসারণের জমি ক্রয়, জাতীয় পুরস্কার লাভ, দেশের সেরা ১০ কলেজের মধ্যে একটি,মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত হয় ।

তাঁর সময়ে ক্রীড়া সাহিত্য ও সংস্কৃতি , রোভার স্কাউটিং, ১৪,২৬৫ টি বইসহ লাইব্রেরি, শিক্ষক ও কর্মচারী এমপিও ভুক্ত শিক্ষক ২৮ জন কর্মচারী ১৫ জন। এমপিও বহির্ভুত শিক্ষক ৫২ জন ও কর্মচারী ১৯ জন ১১৪ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন । শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬,২৪১ জন।
২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফল মহান এ শিক্ষক অত্যন্ত সুনামের সাথে অধ্যক্ষের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
শুধু তাই নয়- তিনি মোতাওয়াল্লী সমিতি বাংলাদেশ এর মহাসচিব ও এডভোকেট ঢাকা জেলা বার,মোতাওয়াল্লী, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স,ওয়াক্ফ এস্টেট এর সদস্য জাতীয় ওয়াক্ফ কমিটির সদস্য এবং পরে সাধারণ সম্পাদক হন।
সামাজিক সংগঠনের মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি চার্টার প্রেসিডেন্ট হাজীগঞ্জ রোটারী ক্লাব, সভাপতি, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির হাজীগঞ্জ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জামিয়া আহমাদিয়া কাওমী মাদরাসা,সহ-সভাপতি, আহমাদিয়া আলীয়া মাদরাসা, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জ, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এর স্বপ্নদ্রষ্টা, হাজীগঞ্জ প্রেস ক্লাব ও শিক্ষা বিষয়ক কলাম লেখক।
তাঁর প্রকাশিত একটি বই রয়েছে এরটির নাম ‘ প্রেক্ষাপটের আলোকে’ ও স্মারকগ্রন্থ হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স এর ইতিহাস ও হাজীগঞ্জ বাজাারের গোড়াপত্তন ইতিহাস সমৃদ্ধ একটি আপ-গ্রেড ভার্সনের গ্রন্থ। মোবাইল ভোর্টিং অপর একটি গ্রন্থ সম্পাদনা করেন ।
চাঁদপুর তথা হাজীগঞ্জের কালজয়ী এ শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটওয়ারী ১৯৫৭ সালের ৭ জানুয়ারি হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামে একসম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী (র.) এবং মাতার নাম হোছনে আরা বেগম। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। অধ্যক্ষ ড.মো.আলমগীর কবির পাটওয়ারী হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও এ কলেজের সকল শিক্ষকদের অভিভাবক, আধুনিক হাজীগঞ্জের রূপকার, একজন সফল শিক্ষাবিদ ও খ্যাতনামা সংগঠক, শিক্ষক নেতা ও চাঁদপুর জেলার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের পরমবন্ধু, কলামিস্ট ও সমাজহিতেষী আদর্শবান ব্যাক্তি। আমরা তার দীর্ঘায়ূ কামনা করি।
তথ্য সূত্র : ওয়েবসাইড, হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ ও জামিয়া আহমদিয়া কাওমী মাদরাসার আল আহমেদ ২০২৪ ডাইরি ও হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্সের স্মারকগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত।
সম্পাদনায়: আবদুল গনি, প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যকর্মী, চাঁদপুর । ৩ আগস্ট ২০২৫। ফোন- ০১৭১৮-২১১০৪৪।
সম্পাদনায় – আবদুল গনি
৪ আগস্ট ২০২৫
এজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur