Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / নতুন ভবনেই বদলে দিতে পারে পুরো বিদ্যালয়ের চিত্র
ভবনেই

নতুন ভবনেই বদলে দিতে পারে পুরো বিদ্যালয়ের চিত্র

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ২০ নং উত্তর শিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবনের অভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে শিক্ষাতকার্যক্রম। বাহির থেকে বিদ্যালয়টির দৃশ্য দেখলে বোঝার উপায় নেই বাহিরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য দেখে মন কারবে যে কারোর, অথচ একটি ভবনের অভাবে পুরাতন টিনসেট ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

জর্ঝাজির্ন টিন সেট ভবনে প্রচন্ড গরমে পর্যাপ্ত ফ্যানের অভাবে পাঠদানে শ্রেণি কক্ষে অস্ততিতে ভোগেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একটু বৃষ্টি হলে, কক্ষের ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়ে ক্লাস নেয়ার পরিবেশ থাকেনা ।
আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি দ্বিতল ভবনে এভাবেই দীর্ঘ বছর ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে চলছে ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী উত্তর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতো সমস্যায় জর্জরিত হয়েও সুনাম ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এতো বছর পরেও শিক্ষক সংকট বিরাজমান প্রতিষ্ঠানটিতে। মোট ২শ ২৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদানের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক।

প্রধান শিক্ষক ও ১ জন সহকারী শিক্ষকের মৃত্যুতে দু’জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

৫ম শ্রের্নীকে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার ও তাহেরা আক্তারসহ আরো অনেকে জানান, ক্লাস করতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। শ্রেণিকক্ষের অভাবে আমাদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
আপনারা আমাদের সহযোগীতা করুন। আমাদের বিদ্যালয়ে একটি একাডেমিক ভবন নাই। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি আধুনিক শিক্ষা হতে আমরা যেন পিছিয়ে না যাই।

শিক্ষার্থী অভিভাবক নাসির উদ্দীন সরকার বলেন, ‘উত্তর শিবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়় একটি ঐতিহ্যবাহী শিশুবিদ্যা প্রতিষ্ঠান। অথচ এ বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবন নাই। শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মান উপযোগী করে গড়ে তুলতে দ্রুত বিদ্যালয়ের জরুরী ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকসহ দু’টি পদে শিক্ষক নিয়োগ ও নতুন একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট্যদের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি ।’

বিদ্যালয়ের সহকারী সিনি. শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘প্রথমে আমি শিক্ষক সংকট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে ২টি পদে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। কারন বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় পাঠ দানে প্রচুর ব্যঘাত ঘটছে। অপর দিকে আমাদের কে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। যা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য।’

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইরিন সুলতানা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ২টি শিক্ষকের পদ শুন্য, যা বলার ভাষা নেই। বাকী শিক্ষকদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হয়। যা খুব কষ্টের ব্যাপার। এছাড়াও নেই নতুন একাডেমিক ভবন । ফলে বাধ্য হয় পুরাতন টিনশেড ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে যে কোন সময় প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনাঘটার আশঙ্কা রয়েছে। ইতি পূর্বে শুন্যপদে শিক্ষকের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের
মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। শীঘ্রই শুন্যপদে শিক্ষক সংকট নিরসন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।’

কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনুর আক্তার মুঠোফোনে জানান, ‘বিষয়টি আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণসহ সমস্যা নিরসনে শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ আগস্ট ২০২৫