তিস্তা সেতুর উদ্বোধন আগামিকাল

যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য আগামিকাল খুলে দেয়া হবে তিস্তা সেতু। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর এ সেতু নির্মিত হয়েছে। গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১ হাজার ৪ শ ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর’র নির্মিত অন্যতম বৃহৎ সেতু। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর খেয়াঘাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারী খেয়াঘাটের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

সূত্র জানায়,সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে যোগাযোগে ১শ কি.মি. বেশি পথ কমে যাবে। সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিসি গার্ডার এ সেতুটি নির্মাণ করেছে।

সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৭ শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ শ ৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সংযোগ সড়কে নির্মাণে ১০ কোটি ২৫ লাখ, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি টাকা।

সেতুটির নিচে রয়েছে ৩০টি পিলার, যার মধ্যে ২৮টি নদীর মধ্যে ও ২টি দু’পারে স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উভয় পাশে ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার জুড়ে নদী শাসনের কাজ করা হয়েছে। সেতুর দু প্রান্তে মোট ৫৭ দশমিক ৩ কি.মি.নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে চিলমারীর মাটিকাটা জংশন থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কি.মি.এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কি.মি.রাস্তা অন্তর্ভুক্ত।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সেতুটি চালু হলে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাসহ রংপুর অঞ্চলে কৃষিপণ্য পরিবহনে নতুন গতি আসবে। এতে কৃষকরা দ্রুত বাজারে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন। সময়মতো পণ্য বিক্রি করে আয় বাড়াতে পারবেন কৃষকরা। ফলে এলাকাজুড়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সম্ভাবনা তৈরি হবে।

১ আগস্ট, ২০২৫
এজি