ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামে পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুর আব্দুর রশিদ (৪৫) কে থানা পুলিশ আটক করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে।
ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যায় হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামে।
শ্বশুর আব্দুর রশিদ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং পুত্রবধূ আব্দুর রশিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের (২২) স্ত্রী ও রানীশংকৈল উপজেলার গোগর পটুয়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের কন্যা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর আগে হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের রশিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের পার্শ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার গোগর পটুয়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল হোসেনের কন্যা রেশমার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার দারিদ্র হওয়ার কারণে কাঠালডাঙ্গী বাজারে এক চায়ের দোকানে শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতো। বাড়ি থেকে কাজের স্থান দূরে হওয়ায় জাহাঙ্গীর দশ-পনের দিন পরপর বাসায় আসতো। তাই দাম্পত্য বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এই সুযোগে শ্বশুর আব্দুর রশিদ পুত্রবধূর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে গড়ে তুলে।
সোমবার সকালে মেহমানের কথা বলে একই উপজেলার চাঁপাসার গ্রামে আব্দুর রশিদের বোন জাহানার বেগমের বাসায় শশুর-পুত্রবধূ বেড়াতে যায়। শ্বশুর ও পুত্রবধূর কথাবার্তায় বোন জাহানারা বেগমের সন্দেহ হলে বিষয়টি স্থানী ইউপি সদস্য আব্দল হাকিমকে অবহিত করেন। সোমবার রাত্রেই ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম ঘঠনাস্থলে গিয়ে শশুর-পুত্রবধূকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
থানা পুলিশ রেশমা ছেড়ে দেয় এবং শ্বশুর আব্দুর রশিদকে আটক করে মঙ্গলবার সকালে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান প্রধান চাঁদপুর টাইমসকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোমবার রাতেই পুত্রবধূ নিজেই বাদী হয়ে শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
কবিরুল ইসলাম কবির
||আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫, মঙ্গলবার
এমআরআর