চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পের কয়েক শতাধিক পরিবারের জীবন এখন বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে বিপর্যস্ত। দীর্ঘ ৯-১০ মাস ধরে শুধু ঘরের ভেতরের সীমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও বাইরের খুঁটিতে নেই কোনো আলো। খুঁটিতে লাইট থাকলেও জ্বলছে না কোনো বাতি। ফলে সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে, তৈরি হয় নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নানা দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক বছর আগে পর্যন্ত আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির লাইটগুলো স্বাভাবিকভাবে জ্বলত। কিন্তু পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ৮/৯ মাস পূর্বে বিদ্যুৎ অফিস থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে আর পুনরায় সংযোগ চালু হয়নি। ফলে রাতের অন্ধকারে রাস্তাঘাট ও আশেপাশের এলাকা অজানা আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার, সোহেল বেপারী, হযরত আলী মাঝি, সোহেল মাঝী, পেয়ারা বেগম, ঝুমুর বেগম, মোহমেনা বেগম, রবিউল হাজীসহ একাধিক বাসিন্দারা জানান, আমাদের ঘরে নিজস্ব বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বাহিরের লাইট না থাকায় রাতে রাস্তায় চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের জন্য এটা বড় ঝুঁকি। এর পাশাপাশি প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশুদ্ধ সাপ্লাইর পানির কোনো ব্যবস্থা হয়নি। কয়েক মাস আগে পৌরসভা থেকে পানি সরবরাহের লাইন টেনে রাখলেও সেই লাইনে আজও পানি আসেনি। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে পাশের ডাকাতিয়া নদীর পানি অথবা চাপকলের পানি এনে ব্যবহার করছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বছরের পর বছর কেবল আশ্বাসই শুনছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। বিদ্যুৎ অফিস ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেই ভুগতে হচ্ছে। আমরা অনেক অবহেলিত। আমরা নিয়মিত পৌরসভায় ট্যাক্স পরিশোধ করলে সকল সুযোগ সুবিদা থেকে বঞ্চিত।
তারা দ্রুত আশ্রয়ন প্রকল্পের রাস্তা ও ভেতরের গলিপথ গুলোতে পুনরায় লাইট সংযোগ চালু করা ও বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন, যাতে অন্তত ন্যূনতম মানবিক জীবনযাপন নিশ্চিত হয়।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি, ২৫ জুলাই ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur