Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / সাত বছর পর ফরিদগঞ্জে হায়াতের নেছা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

সাত বছর পর ফরিদগঞ্জে হায়াতের নেছা হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দীর্ঘ সাত বছর পর হায়াতের নেছা হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিপন ওরফে রিংকুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শুক্রবার (২০এ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর অঞ্চলের পিবিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।

তিনি জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি রিংকুর অবস্থান নিশ্চিত করে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি রাতে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম বড়ালি এলাকায় হায়াতের নেছা (৫০) নামে এক নারী নিজ ঘরে খুন হন। রিপন ওরফে রিংকু এবং তার এক সহযোগী শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর ঘাতকরা হায়াতের নেছার শরীর থেকে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

হায়াতের নেছা বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। ঘটনার পর তার ভাইয়ের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুবেল বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে থানা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্তেও কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি।

পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহজাহান কবির দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সাত বছর পর হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেন এবং প্রধান আসামি রিংকুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

পিবিআই কর্মকর্তা মহিউদ্দিন সেলিম জানান, তিনিই পুরো মামলার তদারকি করছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার বিকেলে রিংকুকে চাঁদপুরের বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রিংকু জানান, চুরির উদ্দেশ্যে হায়াতের নেছার ঘরে ঢুকেছিলেন তারা। কিন্তু হায়াতের নেছা তাদের চিনে ফেলায় তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি, ২০ জুন ২০২৫