কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরের কচুয়ায় গরু মোটাতাজা করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। এ বছর কচুয়ায় সবচেয়ে বড় গরুর খামার গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেন। তার এটি এগ্রো ফার্মে দেশীয় প্রজাতির প্রায় শতাধিক গরু ও ষাঁড় রয়েছে।
কচুয়া পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের কোয়া গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে এটি এগ্রো ফার্ম। ২০২৫ সালে প্রথম বারের মতো অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত গরু দিয়ে খামার শুরু করেন এটি এগো ফার্মের মালিক ও ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেন। প্রথমত অর্ধশতাধিক গরু নিয়ে খামার শুরু করলেও সময়ের ব্যবধানে এখন তার খামারে রয়েছে শতাধিক গরু। খামারে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন কর্মচারী। এ উপজেলার সবচেয়ে বড় এ খামারে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে চলছে গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম।
জানা যায়, খামারটিতে বিভিন্ন আকারের শতাধিক ষাঁড়। তবে এবার কোরবানির উপযোগী বড় ষাঁড়ের সংখ্যা শতাধিক। সতেজ ঘাস, চালের কুঁড়া আর ধানের খড়সহ প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে কোরবানির উপযোগী করা হচ্ছে ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের ষাঁড়। আশা করা হচ্ছে, খামার থেকেই বিক্রি হবে সব গরু।
এটি এগ্রো ফার্মের মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমি হাসপাতাল ব্যবসার পাশপাশি বাণিজ্যিক আকারে গরুর পালনের ব্যাবসা শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, নিজে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বেকার সমস্যা সমাধানে গ্রামের বেকারদের উদ্বুদ্ধ করতেই গ্রামে খামার দেয়ার পরিকল্পনা করি। যারা এ ঈদে দেশীয় জাতের গরু কোরবানি দিতে চান, আমার ফার্ম থেকে গরু ক্রয় করে কোরবানি দিতে পারেন এবং তার ফার্মে এসে গরু দেখার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ২৮ মে ২০২৫
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur