Home / চাঁদপুর / সৌদিতে নিহত চাঁদপুরের মিন্টুর দাফন
accident-2
প্রতীকী ছবি

সৌদিতে নিহত চাঁদপুরের মিন্টুর দাফন

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের মিন্টু কাজীর (৩৯) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টায় কাজী বাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় মরহুমের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় ।

তরপুরচন্ডী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ কাজী, আলহাজ্ব আমীন কাজী, মিন্টু কাজী, আলহাজ কালু কাজী, শাহাদাত কাজী, কাজী হারুন অর রশিদ, পলাশ কাজী, ইউসুফ খান, মিজান গাজী, নাজমুল হক প্রমুখ জানাযায় অংশ নেন। জানাযায় ইমামতি করেন মাওঃ মেহেদী হাসান।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) হযরত শাহাজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে রাত ১টায় মিন্টু কাজীর লাশ তরপুরচন্ডী আসে। বাড়িতে লাশ আসার পর আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়ে।

গত ১৫ অক্টোবর সৌদি আরব স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় মিন্টু কাজী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রুপা আক্তার মুক্তা (২২), একমাত্র মেয়ে কারিনা আক্তার পুতুল (সাড়ে ৪ বছর), বাবা-মা, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির আঃ রাজ্জাকের বড় ছেলে মিন্টু কাজী। প্রায় ২০ বছর যাবৎ সৌদি আরবে ইঞ্জিন মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। ঘটনার দিন নিজের গাড়ি নিয়ে জেদ্দায় মালামালের আনতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। জেদ্দা যাওয়ার আগে পরিবারের সদস্যদের সাথে তার শেষ কথা হয় বলে জানান তারা। পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ২০ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান মিন্টু। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সবাইকে কাঁদিয়ে আজ লাশ হয়ে সে দেশে ফিরছেন।

মিন্টু কাজী নিহত হওয়ার খবর পরিবারের কাছে আসার পর থেকে কান্না যেন থামছে না তাদের। গত রমজানে পরিবারের লোকজনের সাথে ঈদ করে ফের পাড়ি জমায় সৌদি আরবে। নিহত মিন্টু বাবা মা, স্ত্রী, সন্তান আত্মীয় স্বজনের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ।

নীরব শোকে কাতর এখন তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের কাজী বাড়ি। প্রিয়জন হারানোর কি যে ব্যাথ্য তা অনুভব করা যায় মিন্টুর বাড়িতে গেলে। স্বজনদের আহাজারি দেখে কেউ চোখে পানি ধরে রাখতে পারছেন না। সান্ত¡না দেওয়ার ভাষা যেন সবাই ভুলে গেছে।

নিহত মিন্টুর চাচা কাজী হারুন অর রশিদ জানান, তাদের পরিবারের মধ্যে মিন্টু ছিল তার সবচেয়ে ঘনিষ্ট। সব সময় সে হেসে কথা বলতো। কারো সাথে রাগ অভিমান ছিল না তার। তাকে আজ শেষ বিদায় দিতে কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছে।