Home / উপজেলা সংবাদ / মতলব উত্তর / ছেংগারচর বাজারে রমজানে কদর বেড়েছে তরমুজের
বাজারে

ছেংগারচর বাজারে রমজানে কদর বেড়েছে তরমুজের

চলছে রমজান মাস। এ সময় ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ রসালো ফল তরমুজের শরবত দিয়ে অনেকেই রোজা ভাঙেন। ইফতারের খাদ্যতালিকায় অনেকে তরমুজের মতো রসালো ফল রাখতে চান। শীতের আমেজ শেষে গরম পড়তে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে রমজানের প্রাক্কালে তরমুজের দেখা মিললেও হাঁকডাক বাড়ছে তরমুজ বেচাকেনায় ।

শনিবার (৮ মার্চ ) দুপুরে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যবাহি ছেংগারচর বাজারে জমে উঠেছে তরমুজের ব্যবসা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে,গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে আগাম তরমুজ আসতে শুরু করেছে। বড়, ও মাঝারি সাইজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিচ ৩০০টাকা থেকে শুরু ৪০০ টাকায়। এসময় কেউ কেউ দরদাম করে তরমুজ নিচ্ছেন আবার অনেকে দাম শুনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তবে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখনো তরমুজের বাজার জমে ওঠেনি। এ বছর গরমের শুরুতেই রোজা পড়ায় চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি তরমুজের দাম একটু বেড়েছে । তাইতো তরমুজের বেপারী, পাইকার, আড়ৎদার ও শ্রমিকদের কাজে চাঙ্গা মনোভাব লক্ষ করা যায়।

তারা বলেন, বর্তমানে বাজারে যে তরমুজগুলো দেখা যাচ্ছে, তা ঢাকার যাত্রাবাড়ি, চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বরিশাল, ভোলা থেকে আসছে। বিভিন্ন অঞ্চলের স্বল্প কিছু তরমুজ বাজারে আসলেও খুলনাসহ কয়েকটি অঞ্চলের তরমুজ এখনো বাজারে আসতে শুরু করেনি। তাই দাম একটু চড়া। মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে দাম অনেকটা কমবে এমনটা বলছেন তারা।

তরমুজের আবাদ শুরু হয় সাধারণত ডিসেম্বর মাসে। এপ্রিল-মে মাসজুড়ে থাকে তরমুজের ভরা মৌসুম। তবে ফেব্রুয়ারি শেষে বা মার্চের শুরুতে কিছু আগাম (আবাদ করা) তরমুজ বাজারে আসে। বর্তমানে বাজারে এ ধরনের আগাম তরমুজই বিক্রি হচ্ছে। তাই দাম একটু বেশি বলে জানান তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

তবে তরমুজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারের খুছরা তরমুজ ব্যবসায়ী জামাল পাহাড়সহ অন্যব্যবসায়ীরা।

তিনি জানান,নৌ ও সড়ক পথে বিভিন্ন এলাকা থেকে তরমুজ আসছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে। শহরে কিংবা জেলাগুলোতে তরমুজ কেজীতে বিক্রি হলেও এসব বাজারে বেশিরভাগ বিক্রি হচ্ছে পিছ হিসেবে। ভ্যানে করেও বিক্রি করছেন অনেক খুছরা ব্যবসায়ীরা।

আকার ভেদে ২০০ ও ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪শ’ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতারা এসব দামে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রান্তে। রোজাকে ঘিরে বাজারে তরমুজ বিক্রি বেচা হয়েছে প্রচুর।

ছেংগারচর বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী জামাল পাহাড়, মোস্তফা, ফারুক হোসেন, কবির হোসেনসহ আরো কয়েক তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর শুরিুতেই তরমুজের ব্যাপক আমদানি রয়েছে। তবে রোজার মাস পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। বাজারে মাঝারি ও বড় সাইজের তরমুজের চাহিদা বেশি। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা মুটামুটি খুশি। আমরা দৈনিক ৪/৫ শ টাকা রুজি করতে পারি। রমজান মাস হওয়ায় তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বেশি দামে আমাদেরকে কিনে আনতে হচ্ছে মোকাম থেকে। আমাদের দামার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে আগামি জুন- জুলাই পর্যন্ত তরমুজের আমদানি রপ্তানি থাকবে। জামাল পাহাড় আরও জানান,গাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে তরমুজের চাষ ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট সবকিছুর দাম বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন একদিকে রমজান এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম একটু বেশি হাকাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা আঃ আজিজ খান।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ৮ মার্চ ২০২৫