একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের উপর (রিভিউ) শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবব হোসেনের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিলবেঞ্চ সোমবার এ দিন নির্ধারণ করে দেন। একইসঙ্গে সাকা ও মুজাহিদের পক্ষে আদালতে যে কয়টি আবেদন করা হয়েছে সব আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
এসব আবেদনের মধ্যে ছিল সাকার পক্ষে ৪ পাকিস্তানিসহ ৭জনের সাফাই সাক্ষীকে সমন পাঠানো, এবং মুজাহিদের আইনজীবীদের হয়রানী বন্ধের আবেদন।
আদালত থেকে বেরিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আপিল বিভাগের এই বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাকা ও মুজাহিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আজ সোমবার রিভিউয়ের দিন নির্ধারিত থাকায় সকাল ৯ টা থেকে আদালনে অবস্থান নিতে শুরু দুই আসামির আত্মীয় স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের চূড়ান্ত রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন দুটি শুনানির জন্য আজ সোমবার সুপ্রিমকোর্টের কার্যতালিকায় ছিল।
আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় আবেদন দুটি ১৬ ও ১৭ নম্বরে রাখা হয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগে এই রিভিউ শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির দিন পিছিয়ে দেন আদালত।
রিভিউ আবেদনের শুনানি পেছানোর পাশাপাশি সাকা চৌধুরীর পক্ষে ৪ পাকিস্তানিসহ মোট ৭ জন সাফাই সাক্ষীকে সমন জারি করার আবেদন করা হয়েছিল আসামিদের পক্ষ থেকে। যা খরিজ করে দিয়েছে আদালত।
বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী ও জামায়াত নেতা মুজাহিদ এর আগে গত ১৪ অক্টোবর আপিল বিভাগে পৃথকভাবে রিভিউ আবেদন করেন। পরদিন আবেদন দুটির দ্রুত শুনানির দিন ধার্যের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
পরে গত ২০ অক্টোবর রিভিউ শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত।
মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়েছেন মুজাহিদ। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয়েছে তিন শতাধিক পৃষ্ঠার। অপরদিকে, সাকা চৌধুরীর মোট ১০৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ১০টি যুক্তি দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। এ দুজনেরই প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে থাকবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক: ।। আপডেট ১:০৭ পিএম ০২ নভেম্বব, ২০১৫ সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur