চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের দলিল লেখক সমিতির সদস্য আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে দলিল জালিয়াতি করে খারিজ সৃজনের অপরাধে দায়েরকৃত মামলা পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার, এ আদেশ দেন চাঁদপুর কোর্টের ফরিদগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক। মামলা নং-সিআর ৪৯৩/২০২৪।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবড়ালী মৌজায় জনৈক নুরুল ইসলাম তার ছেলে হাসান ইসলামকে ১৭/১/২০২৩ তারিখে ৫৯৫ নং দলিলে ৩২০৬ ও ৩২২৭ দাগে ০.১১৩০ একর জমি হেবা রেজিস্ট্রি করে দেন। যার লেখক ছিলেন আব্দুল করিম। দলিল লেখক সনদ নং-৮৯।
রেজিস্ট্রি পরবর্তী নামজারীর সময় দলিলের তফসিল সম্বলিত ফর্দ কক ১৭৫০৭৮৩ পরিবর্তন করে সেখানে নতুন ফর্দ ড১৬৫১২৭৩৫ সংযোজন করেন এবং সেখানে উল্লেখিত দাগ দুইটির পরিবর্তে ৩৬৬৩ দাগে হাসান ইসলামের পক্ষে সম্পূর্ণ ০.১১৩০ একর জমির নামজারী আবেদন করেন আব্দুল করিম। তার আবেদন অনুসারে জমিটি নামজারী করে উপজেলা ভূমি অফিস। যার নামজারী খতিয়ান নং- ১৯৫, খারিজ মামলা নং- ৩৮৪(ওঢ-ও)/২০২৩-২৪ এবং খারিজ আবেদন নং- ৫২০৫৬৭২। নামজারী আবেদন থেকে আব্দুল করিমের সংশ্লিষ্টতার বিষয় নিশ্চিত হয়ে ১২ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে হাসান ইসলাম ও আব্দুল করিমকে বিবাদী করে চাঁদপুর কোর্টের ফরিদগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম। মামলা নং- ৪৯৩/২০২৪। কোর্ট মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে। পিবিআই পরিদর্শক কবির আহাম্মদ তদন্ত শেষে আব্দুল করিমকে অব্যহতি দিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনকে মিথ্যা, বানোয়াট এবং বাস্তব সত্যের পরিপন্থী উল্লেখ করে ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে এর বিরুদ্ধে নারাজী দেন বাদীর আইনজীবী সফিকুল ইসলাম রনি। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ না করে অবৈধভাবে বাধ্য হয়ে বাদীর আবেদনের বিপরীতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে বলে নারাজীতে উল্লেখ করা হয়। আদলত নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে সিআইডি চাঁদপুরকে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত করিমের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি এই পুনঃরায় তদন্তের বিষয়ে অবগত নই। আপনারা আমার এ বিষয়ে কোন ধরনের নিউজ কইরেন না ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, আদালতের কাছে আমি ন্যায় বিচার প্রার্থী। পুলিশ, রেজিস্টার কার্যালয়, দলিল লেখক সমিতি, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে আমার প্রত্যাশা তারা যেন আমাকে ন্যায় বিচার পেতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। এ মামলায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হলে আগামীদিনে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৩০ অক্টোবর ২০২৪