Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে অবৈধ হাসপাতাল-ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে : সিভিল সার্জন
Civil (1)

চাঁদপুরে অবৈধ হাসপাতাল-ডায়াগণস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে : সিভিল সার্জন

চাঁদপুরে নবাগত সিভিল সার্জন ডা.মো.নুরে আলমের সাথে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হল রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই নবাগত সিভিল সার্জনকে ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা.এস এম সহিদুল্ল্যাহ’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জি এম শাহীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা.মো.নুরে আলম, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি, ড্যাব চাঁদপুরের আহবায়ক ডা.মোবারক হোসেন চৌধুরী,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডা.জাহাঙ্গীর খান,সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা.মো.সাখাওয়াত,অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার এমএ গফুর মিয়া প্রমুখ।

সিভিল সার্জন ডা.মো.নূরে আলম তার বক্তব্যে বলেন,‘স্বাস্থ্য সেবা জনগণের একটি মৌলিক অধিকার। দেশে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা রাখছে। কল্যাণকর সকল কাজে আমার সহোগিতা থাকবে,অকল্যাণকর কাজ বন্ধে আমার কঠোর অসহযোগিতা অব্যাহত থাকবে৷ চাঁদপুর সদরের ১শ ৮টি হাসপাতালে ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্সধারী ২৬টি হাসপাতাল,৭৮টি ডায়াগণস্টিক সেন্টার এবং লাইসেন্স বিহীন ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগণস্টিক সেন্টার রয়েছে।

চাঁদপুর জেলার অবস্থান ও আয়তনের তুলনায় এ সংখ্যা বেশি। এর কারণ হতে পারে‌ জনগণের তুলনায় সরকারি হাসপাতালের সেবাদান অপ্রতুল এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কম খরচে ভালো সেবা দিচ্ছে। আর যদি দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোন কারণ থেকে থাকে তাহলে তো সমস্যা। সে সমস্যা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে৷ চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চলতে দেয়া হবে না কোন ভাবেই। এ জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সচেতনতা এবং সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন৷

সিভিল সার্জন আরো বলেন,‘প্রাইভেট হাসপাতাল,ক্লিনিক এবং ডায়গণস্টিক সেন্টার হলো সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে সবাইকে অর্থের চেয়ে সেবার কথাই আগে ভাবা উচিত। বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগণস্টিক সেন্টারগুলোকে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালনা করতে হবে । ’

তিনি বলেন,‘ চাঁদপুর জেলায় সর্বমোট ২শ ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে লাইসেন্স বিহীন রয়েছে ১৭ টি ।নিয়মবহির্ভূত এবং অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাখা হবে। যারা লাইসেন্স বিহীন প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তারা দ্রুত সব ঠিক করে নিন৷ । ‘

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণস্টিক অনার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার বিভিন্ন পযায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আশিক বিন রহিম
২৯ অক্টোবর ২০২৪
এজি