র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় বড়পুকুরপাড় এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ঘটিয়ে ছাত্রজনতা হত্যা চেষ্টা সহ নাশকতা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামী আদনান হায়দার (৪০) এবং মো.দুলাল (৩৮) নামক ২ জন নাশকতাকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
মাহমুদুল হাসান, লে.কমান্ডার , উপ-পরিচালক কোম্পানী অধিনায়ক র্যাব-১১,সিপিসি-২,কুমিল্লা এর স্বাক্ষরিত ২০ অক্টোবর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী আদনান হায়দার (৪০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের আখলাক হায়দারের ছেলে এবং মো.দুলাল (৩৮) একই থানার পূর্বহুড়া গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নাশকতা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪ আগস্ট ২০২৪ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার অন্তর্গত নাজিরা বাজার এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের ডাকে দিনব্যাপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। উক্ত কর্মসূচিকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ধৃত আসামী আদনান হায়দার (৪০) এবং মো.দুলাল (৩৮)সহ তার অপরাপর সহযোগীরা তাদের হাতে থাকা ককটেল, রামদা, লোহার রোডসহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর অতর্কিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং গুলি বর্ষণ করে।
উক্ত ঘটনায় অনেক নিরীহ ছাত্র ককটেল, দেশীয় অস্ত্র ও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় একটি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের হয়, যার মামলা নং-৭, তারিখ-৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪। মামলা দায়ের করার পর হতে র্যাব-১১,সিপিসি-২,এর আভিযানিক দল পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত আরম্ভ করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১ সিপিসি-২ এর চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় কুমিল্লার সদর দক্ষিণ মডেল থানার বড় পুকুরপাড় এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী আদনান হায়দার (৪০) ও মো.দুলাল (৩৮) দ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মামলায় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত,র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্নঅপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি,অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী,নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১,সিপিসি-২ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
প্রেস রিলিজ
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট
২১ অক্টোবর ২০২৪
এডিটেড বাই এজি