চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রায় ৭ মাস পর ছাত্র সমন্বয়ক, স্থানীয় জনতা এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আবাসিক বিল্ডিংসহ ক্রয়কৃত ভূমির দখল বুঝে পেলেন প্রবাসী মাহফুজ মিজি। ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ এলাকা কাজলী ম্যানশন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। প্রবাসী মাহফুজের দায়ের করা মামলায় পুলিশ অবৈধ ভাবে দখলদার কাজলী বিবিসহ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় ও মামলা সৃত্রে জানা যায়, উপজেলার মেনাপুর গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে প্রবাসী মো. মাহফুজ মিজি গত ১৭ এপ্রিল প্রায় ৭ মাস পূর্বে মকিমাবাদ বিএস ৮৩ নং মৌজায় ২৬৯৭ নং সাফকবলা দলিলমূলে. ০২৫৫ একর ভূমি আবাসিক বিল্ডিংসহ প্রতিপক্ষ শাহিন আক্তার কাজল বিবির নিকট থেকে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা মূল্যে খরিদ করে৷ সেই আলোকে প্রবাসী মাহফুজ মিজি তার খরিদকৃত সম্পত্তি ৭২১৫ খতিয়ানে অনলাইনে নামজারি খারিজ করেন। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দা ও গণ্যমাণ্যদের অবগত থাকা সত্বেও বিক্রেতা কাজলী বিবি দখল না ছেড়ে তালবাহানা করে আসছেন।
উক্ত ভূমির ক্রেতা প্রবাসী মাহফুজ মিজি এ ব্যাপারে একাধিকবার সালিস বৈঠকের ডাক দিলে কোন ভাবেই পাত্তা দিচ্ছে না কাজলী বিবি। পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ পৌরসভা, উপজেলা নির্বাহী ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এসব দপ্তরের একাধিক নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন কাজলী বিবি। এক পর্যায়ে প্রবাসী মাহফুজ মিজি আদালতের দারস্থ হয়ে নিষেধাজ্ঞার মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১৭৪/২৪ইং।
সর্বশেষ গত ১৫ অক্টোবর চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট আদালতে ফৌজদারী ১৪৫ ধারামতে প্রতিকার পায় প্রবাসী মাহফুজ মিজি। আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. সানীর নেতৃত্বে এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রায় সাত মাস পর ভুক্তভোগী প্রবাসী মাহফুজ মিজি তার আবাসিক ক্রয়কৃত ভূমি দখল বুঝে পেলেন।
কাজলী বিবির মেয়ে সাথী আক্তার বলেন, আমাদের এ বিক্রিত জায়গার প্রকৃত মূল্য পাইনি। দালাল চক্রের কারনে আমার মা কাজলী ঠকেছেন। আমরাও আদালতে মামলা দায়ের করেছি যা চলমান রয়েছে।
হয়রানি আর লাঞ্চনার স্বীকার ভুক্তভোগী প্রবাসী মো. মাহফুজ মিজি বলেন, আমি জানতাম না যে কাজলী বিবি একজন মাদক সম্রাট যার বিরুদ্ধে মাদকের ১৯টি মামলা। টাকা বুঝ পেয়ে আমার কাছে তার আবাসিক বিল্ডিংসহ ভূমি বিক্রি করে তা আবার প্রত্যাখান করেছে। আমি গত ৭ মাসে নানান জায়গায় তার এমন প্রতারনা ও জ্বালিয়াতির বিচার চেয়ে আসছি। সর্বশেষ ছাত্র সমন্বয়ক ও পুলিশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা আমি দখল বুঝে পেয়েছি। তার পরেও আতংকে থাকতে হয় সে জন্য আমি এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি সব সময় কামনা করছি।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, কাজলী বিবিসহ আটকৃতদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোন পক্ষ ঝামেলা করতে আসলে সেই ক্ষেত্রে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur