পুলিশ রাতের বেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী করছে, তাদেরকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুক্ত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের লোকজনকে গালাগাল করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে বুঝা যায়, চাঁদপুর- ৫ আসনে ঐক্যফ্রন্ট বনাম প্রশাসনের মধ্যে নির্বাচন চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, ইঞ্জি. মমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
মি. মমিন বলেন, পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এরইমধ্যে ৭৮জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। চারশ’ নেতাকর্মীর নামে ও বেনামে, এক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা-হামলার কারনে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি গণসংযোগে বের হতে পারছিনা।
লিখিত বক্তব্যে মমিনুল হক বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর(অব.) রফিকুল ইসলাম ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে এবং ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে চান। কিন্তু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ তা মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজারে গণসংযোগস্থল থেকে ১৯জন নেতাকর্মীকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতে ১৭ জন নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পূর্বের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠায় । এর মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে এসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তার গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সূচীপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম হয়।
মমিনুল হক বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখিত বিষয়ে বক্তব্য রাখি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রচারণার ক্ষেত্রে সমঅধিকারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়নি। কারণ ১৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়ন ও শাহরাস্তি দোফল্লা বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। ওই স্থান থেকে ৪জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এম এ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা, এম এ নাফের শাহ্সহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ ডিসেম্বর, ২০১৮