Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে বিএনপির সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
বিএনপির

হাজীগঞ্জে বিএনপির সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গত দুই দিনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দাওয়া পাল্টা দাওয়া সহিংসতা রূপ নেয়। এতে হাজীগঞ্জ বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, সড়কে অগ্নিসংযোগ, দুই পক্ষের দাওয়া পাল্টা দাওয়া সাধারণ পথচারীসহ প্রায় অধ্যশত লোক আহত হয়। সেই সাথে একাধিক লাশ হওয়ার খবর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপির দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে কেন্দ্রীয় বিএনপির। ২০ সেপ্টেম্বর রাতেই কেন্দ্রীয় যুব ও ছাত্র দলের প্যাডে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা আসে। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আক্তার হোসেন দুলাল বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি বিষয়টি বিএনপির দুই পক্ষ বানিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার দাবি করে তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এদিকে এ ঘটনার প্রাথমিক সৃত্রমতে জানায়, গত এক মাস পূর্বে হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মকিমাবাদ সর্দার বাড়ির মনির হোসেনের ছেলে মুন্না (১৮)র সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনায় নিয়ে মারামারি হয়। সে ঘটনায় নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টোরাগড় গ্রামের একটি ছেলেকে বাজারে দেখতে পেলে তাকে সর্দার বাড়ির ২/৪ জন ছেলে মারধর করে। পরে টোরাগড় গ্রামের আরো ছেলে বাজারে এসে সর্দার বাড়ীর ভান্ডারী আকতার ও তার ছেলেকে মারধর করে। এরপর সর্দার বাড়ির লোকজন বাজারে জড়ো হয় এবং টোরাগড় গ্রামের লোকজনও বাজারে অবস্থান নিলে শুরু হয় দুই পক্ষের মারামারি।

মূলত এঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার হাজীগঞ্জ বাজারে রক্তাক্ত সহিংসতা রূপ নেয়। এতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এ সময় এক কিশোর সহ অন্তত চারজন গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা ও ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এসময় আশঙ্কাজনক অবস্থা বিলবাড়ী এলাকার ইউনুসের ছেলে সাইমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় নিয়ে গেছেন তার বাবা। আরেকজন শাহরাস্তি ওয়ারুক এলাকার। তবে বাকী গুরুত্বর দুই জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় এলাকায় রাত ১১ টা পর্যন্ত বিরাজ করেছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা মামলা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার টোরাগড় ও মকিমাবাদ এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪