চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ে শ্রমিক কলোনিতে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কিশোরী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ায় প্রতারক কাউছার গা ঢাকা দিয়েছে। বর্তমানে গ্রাম্য শালিসকে উপেক্ষা করে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ভিকটিম পরিবারকে সমাঝোতায় আনার চেষ্টা করারও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবক কাউছার আহমেদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় কিশোরী বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কিশোরীর পরিবার জানায় “রেলওয়ে শ্রমিক কলোনিতে বসবাসরত অটো রিক্সাচালক সফিকুর রহমান ও জাহানারা বেগমের কিশোরী কন্যা (১৫) ১ বছর পূর্বে বড় স্টেশন স্টীমার ঘাট এলাকায় নদী থেকে পানি আনতে গিয়ে ওই এলাকার ব্যবসায়ী বশির উল্লা মিজির ছেলে, কাউসার মিয়াজী (২২) তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে।”
ভিকটিম কিশোরী আরো জানায়, গত রমজান ঈদ উপলক্ষে অভিযুক্ত কাউসার তাকে ২ সেট সালোয়ার কামিজ উপহার দেয় এর কিছু দিন পর কিশোরীকে কাউসার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লঞ্চযোগে কিশোরীর নানীর বাড়ি সুরেশ্বর এলাকায় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরী তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রাত্রীযাপন করে। দু’দিন নানীর বাড়িতে থাকার পর সেখান থেকে কাউসার পালিয়ে চাঁদপুর চলে আসে।
কিশোরী সুরেশ্বর এলাকা থেকে গত ১৪ অক্টোবর চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন রেলওয়ে শ্রমিক কলোনীতে এসে তার পিতা-মাতা ও এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানায়। এরই মধ্যে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
হতভম্ব হয়ে কিশোরী জানায়, “ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেছে এখন কাউসার তাকে বিয়ে না করলে তার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। এলাকার আঃ রহিম, মোঃ আলমগীর হোসেন ও আঃ কাদিরসহ সালীশগণ বসে কাউসারকে কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কাউসার তাদের এ প্রস্তাব না মেনে পিতা বসির উল্লার মাধ্যমে কিশোরীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার টাকা দেয়ার জন্য প্রস্তাব করে। কিশোরীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী এ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে কিশোরীর ইজ্জতহানির কারণে তাকে বিয়ে করার জন্য কাউসারকে চাপ প্রয়োগ করে। কাউসার বিয়ে না করে এলাকা থেকে গা’ ঢাকা দেয়।
ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কিশোরীর অভিভাবক বাধ্য হয়ে বিচারের দাবিতে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায়, “কিশোরীর সাথে নদীতে পানি নেয়ার সময় পরিচয় হয়। এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে।”
কাউসারের পিতা বসির উল্লার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে এর সমাধান চেয়েছি। আমার ছেলে এ কাজ করেছে শুনে আমি এ ব্যাপারে কিছু বলার মুখ আমার নেই। এলাকাবাসী যে সমাধান করবে তাতে আমি একমত।”
চাঁদপুর টাইমিস নিউজ ডেস্ক: ।। আপডেট ০৬:৩০ পিএম ২১ অক্টোবর, ২০১৫ বুধবার
/ডিএইচ