Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়া / কচুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে ২০ গ্রামের মানুষ
ঝুঁকি

কচুয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে ২০ গ্রামের মানুষ

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৬নং উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিন তেতৈয়া ও সদর ইউনিয়নের ঘাগড়া পূর্ব বিল সংলগ্ন সুন্দরী খালের উপর বাশেঁর সাকো দিয়ে প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। সাঁকোর নিচে প্রবল পানির স্রোত। প্রতিদিন সেই সাকোঁ দিয়ে কচুয়া উত্তর ও সদর ইউনিয়নের এলাকাবাসী,শিশু, বৃদ্ধসহ নানা শ্রেনীর মানুষ চলাচল করছে। যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে তাদের। অনেকেই সাকোঁ থেকে পড়ে আহত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় অধিবাসীরা।

জানা গেছে, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা ও উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিন তেতৈয়া সুন্দরী খালের উপর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাশেঁর সাকোঁ তৈরি করা হয়। এ সাকোঁ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে কৃষকরা তাদের পন্য আনা নেয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বিশেষ করে তেতৈয়া, খিড্ডা, নাহারা, লতিফপুর,সিংআড্ডা, নোয়াগাঁও এবং সদর ইউনিয়নের রাজাপুর,হোসেনপুর, ঘাগড়া, কোমরকাশা সহ প্রায় ২০ গ্রামের এ সাকোঁ দিয়ে যাতায়াত করে। খালের উপর ব্রীজ নির্মান হলে দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের দুরত্ব কমবে।

স্থানীয় অধিবাসী মানিক হোসেন,মহিউদ্দিন মাফি সহ একাধিক লোকজন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ খালে কোনো ব্রীজ নেই, বাশেঁর সাকোঁ দিয়ে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের। কিন্তু অনেক জনপ্রতিনিধি আসলেও কেউ এ খালে ব্রীজ নির্মাণে কোনো তদারকি নেই। দ্রুত দুই ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বাশেঁর সাকোঁর পরিবর্তে ব্রীজ নির্মান করার দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া বলেন, অনেক বছর ধরে এ খালে ব্রীজ না থাকায় দুই ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ হয়। স্থানীয় কৃষকরা রবি শস্য নিতে হিমসিম হয়। দ্রুত এ খালে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানাই।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে ওই খালে ব্রীজ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হবে।

প্রতিবেদক: জিসান আহমেদ নান্নু, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪