Home / উপজেলা সংবাদ / কচুয়ায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন
বাড়ি

কচুয়ায় বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৩নং বিতারা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও সাচার বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ ও তার ভাই রাকিবুল হাসান হৃদয় এর উপর হামলা, মারধর, বাড়িঘর ভাংচুর ও মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ২৫ আগস্ট রোববার দুপুরে হামলার শিকার আব্দুস সামাদ এর আয়োজনে সাচার তার নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বিতারা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুস সামাদ বলেন, আমি ২৪ বছর যাবৎ সাচার বাজারে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমার নিজ গ্রামের প্রতিপক্ষ সামছু সরকার ও তুষার সরকার গংদের সাথে পূর্ব থেকে আমাদের জমি-জমা বিরোধ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন আমার এলাকার ছেলে শাহাবুদ্দিন সরকার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে মিলেমিশে একই দলের রাজনীতি করার স্বার্থে আমাকে বাড়িতে আসতে বলেন। আমি ৭ আগষ্ট সকালে বাড়িতে আসলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে জমি-জমা শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ তুষার ও শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার, চাচা ও ফুফুর ৬টি ঘর ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও লুটপাট করে।

তিনি আরো বলেন, আমার বাবা আব্দুস সাত্তার সরকার পর পর তিনবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে এলাকাবাসীর সেবা করেন। আমার ভাই রাকিবুল হাসান হৃদয় ওরপে মোশাররফ হোসেন ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী। তিনিও এলাকায় মানুষের সেবা করছেন। আমি সাচার বাজারে ব্যাবসা করার সুবাদে এলাকায় বছরে দুয়েকবার যাই। এলাকাবাসীর সাথে আমার বা আমার পরিবারের কোন বিরোধ নেই। আমরা সবসময় মিলেমিশে বসবাস করে আসছি। প্রতিপক্ষরা মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও বানোয়াট।

৭ আগস্ট উত্তর শিবপুর বাজারে কোন হিন্দু ব্যবসায়ী কিংবা সাধারন লোকজনের উপর আমরা হামলা করিনি। উল্টো প্রতিপক্ষরা র্প্বূ বিরোধ নিয়ে আমাদের মারধর করে বাড়িঘর ভাংচুর করে আমাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। যাহা এলাকাবাসীর মোবাইলে ভিডিও ধারনসহ স্থানীয় লোকজন অবগত রয়েছেন। আমরা বিএনপি দল করেও বর্তমানে বিভিন্নভাবে হামলা মামলার শিকার হয়ে হয়রানি হচ্ছি। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষ তুষার, শাহাবুদ্দিন গংরা আমাকে ও আমার ভাইকে মেরে রক্তাক্ত জখম করেন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি ১১ দিন মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে সাচারে বাসায় ফিরি। সাচারে বসবাস করলেও প্রতিপক্ষদের হুমকি-ধমকির ফলে আমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার পরিবারের উপর হামলা ও ভাংচুরে ঘটনায় সঠিক তদন্তপূর্বক আমি প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর কাছে ন্যায় বিচার চাই।

এসময় আব্দুস সামাদ এর ভাই রাকিবুল হাসান হৃদয়, স্ত্রী মর্জিনা আক্তার মনি, মেয়ে সায়মা সুলতানা রেশমিসহ চাঁদপুরের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট মিডিয়াসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কচুয়া প্রতিনিধি, ২৫ আগস্ট ২০২৪