ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। দেশে চলমান পরিবর্তনের এ সময়ে একের পর এক নানা আলোচিত ঘটনা ঘটে চলেছে। এর মধ্যে অন্যতম ইস্যু‘আয়নাঘর’,যা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। এ ইস্যু কাজে লাগানোর চেষ্টায় আছেন বেশ কয়েকজন পরিচালক ও প্রযোজক।
‘আয়নাঘর’ বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে এরইমধ্যে কয়েকটি ছবি নির্মাণের ঘোষণাও এসেছে। সেই সঙ্গে তালিকায় আছেন পুলিশ বিভাগের আলোচিত-সমালোচিত মুখ হারুন-অর-রশিদও। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বে থাকার সময় তিনি বিভিন্নজনকে তার দপ্তরে ডেকে খাবার খাওয়াতেন। খাওয়ানোর সেসব স্থিরচিত্র ও ভিডিও তিনি ফেসবুকে প্রচারও করতেন। অনেকেই তাই গোয়েন্দা কার্যালয়কে হারুনের ভাতের হোটেলও বলতেন। এ নিয়ে অভিনয়শিল্পী জাদু আজাদ ‘হারুনের ভাতের হোটেল’ নামে একটি ছবি পরিচালক সমিতিতে নিবন্ধন করেছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির শিডিউল খাতা মোতাবেক, গত ১০ দিনে ৬টির মতো ছবির নাম নিবন্ধিত হয়েছে। ঘুরেফিরে ‘আয়নাঘর’ নামটি প্রাধান্য পেয়েছে। পরিচালক সমিতির শিডিউল খাতার প্রাপ্ত তথ্যমতে, বদিউল আলম খোকন ‘ভয়ংকর আয়নাঘর’, জয় সরকার ‘আয়নাঘর’,বেলাল সানি‘পরিবর্তন’,জানেসার ওসমান ‘অন্ধকারের আয়নাঘর’ নামে ছবি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে নাম নিবন্ধন করেছেন।
এসব নাম নিয়ে পরিচালকদের মধ্যেও চলছে নানা আলোচনা। ছবির এমন নাম নিয়ে একেকজনের একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গিও রয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সাথে সাথে এ ধরনের ছবির নাম নিবন্ধনের একটা হিড়িক পড়ে। তারা বলেছেন- শুধু নাম নিবন্ধন করলেই হবে না ছবিগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে কবে,ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে কি না এগুলোও দেখার বিষয়। তবে ঘটনাগুলো দেশে ও দেশের বাইরে বেশ আলোচিত, ঠিকঠাকভাবে বানাতে পারলে দারুণ কিছু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক নির্মাতা।
‘হারুনের ভাতের হোটেল’ ছবিটির পরিচালক হিসেবে আছে জাদু আজাদের নাম। ছবি নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘ছবিটা কিন্তু সেই হবে। বানানোতেও আমরা কোনোরকম আপস করব না।’ কারা এ ছবিতে অভিনয় করবেন,সে ব্যাপারে কিছু ভেবেছেন,এমন প্রশ্নে জাদু আজাদ বলেন,‘এখনো ভাবিনি। তবে খুব শিগগির এসব চূড়ান্ত করে ফেলব। এটা বলতে পারি,চমকও থাকবে কিছু।’ইত্তেফাক
চাঁদপুর টাইমস
২১ আগস্ট ২০২৪
এজি